পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবিতা দুজনে মিলিয়া সুখের কাননে গাঁথিব কুসুমমালা! গাইব সুখের গান সুখ নিশা অবসান, আমার এ মন সিপিয়া তোমারে লাইব তোমার মন হািদয়ের খেলা খেলিয়া খেলিয়া কাটাইব সারাক্ষণ! এইরূপে সখা কবিতার কোলে পোহায়ে যাইবে প্ৰাণ সুখের স্বপন দেখিয়া দেখিয়া গাহিয়া সুখের গান। পার কি বলিতে কেহ পার কি বলিতে কেহ কী হল এ বুকে যখনি শুনি গো ধীর সংগীতের ধবনি যখনি দেখি গো ধীর প্রশাস্ত রজনী কত কী যে কথা আর কত কী যে ভাব উচ্ছসিয়া উথলিয়া আলোড়িয়া উঠে ! দূরাগত রাখালের বাঁশরির মতো আধভোলা কালিকার স্বপ্নের মতনকী যে কথা কী যে ভাব ধরি। ধরি করি তবুও কেমন ধারা পারি না ধরিতে! কী করি পাই না খুজি পাই না ভাবিয়া, যা-কিছু যুঝিছে হৃদে খুলে ফেলি। তাহা। মুরতি দেবতাসম অপরূপ স্বজনি, ভেবেছিনু মনে মনে, প্ৰণয়ের চন্দ্ৰলোকে খেলিব দুজনে মিলি দিবস ও রজনী, আজ সখি একেবারে, ভেঙেছে সে ঘুমঘোর ভেঙেছে সাধের ভুল মাখানো যা মরমে, দেবতা ভাবিনুযারে, তার কলঙ্কের কথা শুনিয়া মলিন মুখ ঢাকিয়াছি। শরমে। tà