পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট 8) ভুলতাম রাধারাপে অন্যজনমন- “ পর ভুলান কেমন? up সুন্দরী বলিলেন : কেন না হইলি তুই, কাননকুসুম, Niesনা টুতেম। অন্য ফুলে, বঁধিতাম তোরে চুলে, চিকণ গাঁথিয়া মালা, পরিতাম হার। Ca e কেন না হইনু হায়! কুসুমের দাম, मर्क्षन् छ्रक्षभ। এক নিশা স্বৰ্গ সুখে, বঞ্চিয়া রাধার বুকে, ত্যজিতাম নিশি গেলে জীবন যাতনমেখে শ্ৰীঅঙ্গচন্দন৷ দুঃখের বিষয় আমরা “তথাস্তু বলিতে পারিলাম না। তৃতীয়, অধঃপতন সংগীতটিতে বঙ্কিম-ভাবের(?) রসিকতার চূড়ান্ত হইয়াছে। কিন্তু বিষয়ের দোষে রস মারা পড়িয়ছে- হাসিতে হাসিতে অধঃপতনে যাইতেছি কুখনো যেন আর কঁদিতে হইবে না- এ ভােব কী ভয়ানক ভাব। মানুষ মরিতেছে তাহার পার্থে দাঁড়াইয়া হাস্য-পরিহাস আমোদ-প্ৰমোদ- আমোদ-প্ৰমোদ করিবার আর কি স্থান নাই! কবিতাটিতে উত্তম রসিকতা প্রকাশ হইয়াছে; কিন্তু বিষয় নাকি অধঃপতন- নাম শুনিলেই গা কঁপে- এ স্থানে রসিকতার হাস্যবন্দন দেখিয়া, অমাবস্যা রজনীতে শ্মশানমধ্যে একজন সুন্দরী রমণীকে খিলখিল করিয়া হাসিতে দেখিয়া- কাহারো যে হাসি পাইবে, সহৃদয় মানব প্রকৃতিতে তো এরূপ লেখে না; তবে যদি গ্রন্থকার দানব-প্রকৃতিকে লক্ষ্য করিয়া কবিতাটি রচিয়া থাকেন, তাহা হইলে তাহা বিকট হাস্য হাসাইবার মতে- ঘোরতর একটি অধঃপতনের পাথেয় সম্বল হইয়াছে- ইহা কেহই অস্বীকার করিতে পরিবেন না। চতুৰ্থ- “সাবিত্রী - এই কবিতাটির স্থানে স্থানে দু-একটি সুন্দর বর্ণনা আছে- যখন যমরাজ শোকাতুরা সাবিত্রীর সম্মুখীন হইতেছে কবি লিখিতেছেন : “হেরে আচম্বিতে এ ঘোর সংকটে, ভয়ংকর ছায়া আকাশের পটে, ছিল যত তারা তাহার নিকটে ক্ৰমে মান হয়ে গেল নিবিয়া। সে ছায়া পশিল কাননে- অমনি, পলায় শ্বাপদ, উঠে পদধ্বনি, বৃক্ষ শাখা কত ভাঙিল আপনি, সতী ধরে শবে বুকে আঁটিয়া৷ কিন্তু গ্ৰন্থকার যে সত্যবানকে জীবন দান না করিয়া সাবিত্রীকে পর্যন্ত মারিয়া ফেলিলেন কেন- তাহা তো আমরা বুঝিতে পারি না। কোথায় সতীত্বের অমোঘ প্রভাবে যমহন্ত হইতেও

  • ছায়ার নিকট তারা স্নান হইয়া নিভিয়া গেল- ইহা কীরূপ সংগত বুঝিতেঁ পারি না। ছায়া কি দিবাকরতুল্য ? W