ግ¢ù झोका-नफनांबर्वी সুপ্রাপ্য হওয়া সম্ভাবিত হইতে পারে, তাহা করা রাজনীতি ও প্ৰজানীতি উভয়েরই কর্তব্য। মনুষ্য-অক্তিত্বের সর্বপ্রধান উপাদান অন্নবন্ত্রের উপর কোনো কর বসাই উচিত নয়; বিশেষত উহা অতিরিক্ত করের বিষয়ীভূত হওয়া ন্যায়ত ও ধর্মত অন্যায়; রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উহা প্ৰজ্ঞতারও এবারকার আইনটি যেরূপ হইল অল্পের মধ্যেই বলা যাইতেছে। বিদেশী ও বিলাতি আমদানি কাপড় ও সুতার শতকরা পাঁচ টাকা কর নির্ধারিত হইয়াছে। ইহা সাবেক সি কাসিটাম ট্যারিফ আইনেরই অন্তৰ্গত। কিন্তু ইহা ব্যতীত স্বতন্ত্র একটি আইন হইয়াছে, তাহার নাম ১৮৯৪ সালের “কটন ডিউটিস অ্যাক্ট’। এই আইন আমদানি বস্ত্ৰ শুষ্ক আইনেরই অনিবাৰ্য ফল, অগ্ৰেই বলিয়াছি। কেননা বিদেশী বা বিলাতি বস্ত্ৰ বিক্রয়ের ব্যারাসা করিয়া, গবর্নমেন্ট, স্বাধীন বাণিজ্যের সূত্রানুসারে, এ-দেশীয় কল-শিল্পজাত বস্ত্ৰপণ্যের বিক্রয় সংরক্ষণ করিতে সমর্থ নহেন। সুতরাং এ-দেশীয় কলের কাপড়ের উপর কর বসাইতে বাধ্য। সেই কর বসাইবার জন্যই এই “কটন ডিউটিস অ্যাক্ট’। বিলাতি বস্ত্ৰে শুষ্ক না বসিলে এ অ্যাক্ট বা আইন নিশ্চয়ই হইত না। এই আইন অনুসারে দেশী কলের সূতার উপর কর বসিল। সুতার শুঙ্কের অর্থই বন্ত্রের কর; কারণ যে সূতার বস্ত্ৰে বয়ন হইবে সে সূতারও শুষ্ক লাগিবে; সুতরাং বোনা বস্ত্রের উপর কর না বসিয়া অবোনা। সুতার উপরেই শুষ্ক হইয়াছে। অর্থ একই। করের হার আমদানি-কারেরই সমান অর্থাৎ শতকরা পাঁচ টাকা করিয়াই হইয়াছে। তবে ইহার মধ্যে একটু কথা এই যে, দেশী কলে হয় মোটা সুতা; বিলাতি কলে জন্মে সরু সুতা। বোম্বে অঞ্চলের কল, বিলাতি কলের সরু সূতার সহিত বড়ো বেশি প্রতিযোগিতা করে না। যে পরিমাণে প্রতিযোগিতা সেই পরিমাণেই কর বা আইন প্রয়োজন। অতএব দেশী কলে যে পরিমাণে অপেক্ষাকৃত ও অত্যন্ন সরু সূতা উৎপন্ন হয়; তাহারই উপর কর বসিয়াছে। অর্থাৎ দেশী কলে ২০ নম্বরের সুতার ও তন্নিাম শ্রেণীর সূতার করা লাগিবে না; ২১ নম্বর হইতে তদুধর্ব নম্বরের সরু সুতারই শুষ্ক লাগিবে। গবর্নমেন্ট যদি কখনো ইচ্ছা করেন অর্থাৎ ইহার পর অতিরিক্ত তথ্য সংগৃহীত হইয়া প্ৰতিপন্ন হয় যে, এ-দেশীয় কলে ২০ নম্বরের সূতা অপেক্ষা সূক্ষ্ম সুতা প্ৰস্তুত হয় না; তাহা হইলে আইন একটু সংশোধিত করিবেন; ২০ নম্বর ২৪ নম্বরে পরিণত হইবে। অর্থাৎ ২৪ নম্বর পর্যন্ত সুতার শুস্ক লাগিবে না, তদুধৰ্ব্ব হইলেই তাহা লাগিবে। পরন্তু, এ-দেশীয় কল হইতে যে-সকল সূতা অন্য দেশে রপ্তানি হইবে, তাহার শুষ্ক লাগিবে না; দেশমধ্যে যে-সকল সূতা বিক্রয় হইবে এবং দেশমধ্যে বিক্রেয় বস্ত্র যে-সকল সূতায় প্রস্তুত হইবে তাঁহারই কেবল শুষ্ক লাগিবে। দেশের লোকের সুখ-সুবিধার প্রতি ইহা যৎপরোনাস্তি শুভ দৃষ্টি বটে! কটন ডিউটিস অ্যাক্ট’ সমগ্র ব্রিটিশ ভারতে সমান বর্তিবে এবং আইন হওয়ার পর হইতেই, আজ কয়েক দিন হইল উহা আমলে আসিয়াছে। দেশীয় রাজাদিগের রাজ্যও বাদ পড়ে নাই। তাহা বিদেশ ও বিলাতের মধ্যেই পরিগণিত হইয়াছে। তথাকার কাল হইতে যে-সকল কাপড় সুতা ব্রিটিশ-ভারতে আসিবে তাহারও শুষ্ক চাই। অতএব দেশীয় রাজার রাজ্যে গিয়াও যে কাপড় সুতার কল পাতিয়া আইনের হস্ত এড়াইবে, সে উপায়ও নাই। মাননীয় মি. ওয়েস্টল্যান্ডের এ সম্বন্ধে আমাদের উপকারে উক্তি অতি চমৎকার উপাদেয়। তাহাতে হাস্য করুণ এই উভয়বিধ বিরোধী রসেরই একত্রে উদ্রেক হয়। কয়েক দিন ধরিয়া সুপ্রিম কাউন্সিলে এই আইনের অল্পাধিক আলোচনা হইয়াছিল। এবং তাহাতে অল্পাধিক পরিমাণে অর্থনৈতিক কথাও নিহিত ছিল। কিন্তু তাহ সমালোচনা করার স্থান নাই। তবে এক কথায় ইহা বলা যাইতে পারে যে, এ দেশের পক্ষ হইতে বেসরকারি সদস্যেরা যে-সকল তর্ক উপস্থিত করিয়াছিলেন তাহ রাজনৈতিক ও আনুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক হিসাবে এত দুর্বল যে, তাহা দাঁড়াইতে পারে নাই বলিয়া আমরা আশ্চর্য নাহি। BD DD BBB DBDBD DDD DDDuD DBD DDB DC BDB BB BDDB করবে। এ আইন যতই সাবধানে অনুষ্ঠিত হউক এখন হইতে এ-দেশীয় কাপড় সুতার
