পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮, “সাহিত্য-পাঠকদের প্রতি 7Tr, b > Raa ২৯. রবীন্দ্ৰবাবুর পত্ৰ । जशिष्ठ, :वश्थांचं s७००० ৩০. সাহিত্যের গীেরব । 7Tegal, Sieg voo ৩১. মেয়েলি ব্ৰত অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায়-লিখিত গ্রন্থের ভূমিকা, ১৩০৩ বঙ্গাব্দ ৩২. সাহিত্যের সৌন্দৰ্য ভারতী, জ্যৈষ্ঠ ১৩০৫ ১. নবীনচন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায়ের ভুবনমোহিনী প্ৰতিভা’ কাব্য (প্রথম ভাগ, প্রকাশ ১৭৯৭ শক। ১৮৭৫ খৃস্টাব্দ), রাজকৃষ্ণ রায়ের অবসর সরোজিনী।” (প্রথম ভাগ, ১২৮৩ বঙ্গাব্দ) ও হরিশ্চন্দ্র নিয়োগীর ‘দুঃখসঙ্গিনী’ (১২৮২ বঙ্গাব্দ) কাব্যত্রয়ের রবীন্দ্রনাথ-লিখিত প্ৰথম সমালোচনামূলক প্ৰবন্ধ। জীবনস্মৃতি” গ্রন্থের রচনাপ্রকাশ’ অধ্যায়ে রবীন্দ্রনাথ রচনাটির ইতিহাস। এইভাবে জানাইয়াছেন “প্ৰথম যে গদ্যপ্ৰবন্ধ লিখি তাহাও এই জ্ঞানাকুরেই বাহির হয়। তাহা গ্রন্থসমালোচনা। তাহার একটু ইতিহাস আছে। তখন ভুবনমোহিনীপ্ৰতিভা নামে একটি কবিতার বই বাহির হইয়াছিল। বইখানি ভুবনমোহিনী নামধারিণী কোনো মহিলার লেখা বলিয়া সাধারণের ধারণা জন্মিয়া গিয়াছিল। সাধারণী কাগজে অক্ষয় সরকার মহাশয় এবং এডুকেশন গেজেট ভূদেববাবু এই কবির অভু্যুদয়কে প্রবল জয়বাদ্যের সহিত ঘোষণা করিতেছিলেন। তখনকার কালের আমার একটি বন্ধু আছেন- তাহার বয়স আমার চেয়ে বড়ো। তিনি আমাকে মাঝে মাঝে ভুবনমোহিনী” সই করা চিঠি আনিয়া দেখাইতেন। ভুবনমোহিনী' কবিতায় ইনি মুগ্ধ হইয়া পড়িয়াছিলেন এবং “ভুবনমোহিনী” ঠিকানায় প্রায় তিনি কাপড়টা বইটা ভক্তি-উপহার রাপে পাঠাইয়া দিতেন। এই কবিতাগুলির স্থানে স্থানে ভাবে ও ভাষায় এমন অসংযম ছিল যে, এগুলিকে স্ত্রীলোকের লেখা বলিয়া মনে করিতে আমার ভালো লাগিত না। চিঠিগুলি দেখিয়াও পত্ৰলেখককে শ্ৰীজাতীয় বলিয়া মনে করা অসম্ভব হইল। কিন্তু আমার সংশয়ে বন্ধুর নিষ্ঠা টলিল না, তাহার প্রতিমাপূজা চলিতে লাগিল। আমি তখন ভুবনমোহিনীপ্ৰতিভা, দুঃখসঙ্গিনী ও অবসরসরোজিনী বই তিনখানি অবলম্বন করিয়া জ্ঞানাকুরে এক সমালোচনা লিখিলাম।” উক্ত বন্ধু সম্ভবত প্ৰবোধচন্দ্র ঘোষ। ২. রচনাশেষে “ভঃ’ চিহ্নিত। “জীবনস্মৃতি” গ্রন্থের ‘ভারতী” শীৰ্ষক অধ্যায়ে বর্তমান রচনা প্রসঙ্গে ख़दीक्षनाथ लिथिग्रांछन সংকল্প করিলেন। এই আর-একটা আমাদের পরম উত্তেজনার বিষয় হইল। আমার বয়স তখন ঠিক যোলো। কিন্তু আমি ভারতীর সম্পাদকচক্রের বাহিরে ছিলাম না। ইতিপূর্বেই আমি অল্পবয়সের স্পর্ধার বেগে মেঘনাদবধের একটি তীব্র সমালোচনা লিখিয়ছিলাম। কঁচা আমের রসটা অক্সরস- কঁচা সমালোচনাও গালিগালাজ। অন্য ক্ষমতা যখন কম থাকে তখন খোঁচা দিবার ক্ষমতােটা খুব তীক্ষ হইয়া উঠে। আমিও এই অমর কাব্যের উপর নখরাঘাত । করিয়া নিজেকে অমর করিয়া তুলিবার সর্বাপেক্ষা সুলভ উপায় অন্বেষণ করিতেছিলাম। এই দাতিক সমালোচনাটা দিয়া আমি ভারতীতে প্ৰথম লেখা আরম্ভ করিলাম।...” ভারতীর পত্রে পত্রে আমার বাল্যলীলার অনেক লাজ ছাপার কালির কালিমায় অঙ্কিত হইয়া আছে। কেবলমাত্র কাচা লেখার জন্য লজা নহে- উদ্ধত অবিনয়, অদ্ভুত আতিশয্য ও সাড়ম্বর কৃত্রিমতার জন্য লজা।”