পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ergefab Abrał রবীন্দ্রনাথ যে পাঠ প্ৰস্তুত করিয়াছিলেন তাহাঁই সেখানে সংগীত ও ভাব” নামে মুদ্রিত হইয়াছিল। ‘সংগীতচিন্তা’র নূতন সংস্করণে (১৩৯২) দুইটি প্রবন্ধ আলাদা করিয়া ছাপা হয়। এখানেও দুইটি প্ৰবন্ধ স্বতন্ত্রভাবে সংকলিত হইল। HSuDBDB CD DDuDS BB DDBDBK SS BE SDaDE SSBBB LDDB TlB DCJHHS তারিখে রেভারেন্ড কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে কলিকাতার মেডিক্যাল কলেজের হলে বেথুন সোসাইটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় পাঠ করেন। তিনি ‘জীবনস্মৃতিতে’ লিখিয়াছেন, হলে আমি প্ৰবন্ধ পাঠ করিয়াছিলাম। সভাস্থলে এই আমার প্রথম প্ৰবন্ধ পড়া . প্ৰবন্ধের বিষয় ছিল সংগীত। যন্ত্রসংগীতের কথা ছাড়িয়া দিয়া আমি গেয় সংগীত সম্বন্ধে ইহাই বুঝাইবার চেষ্টা করিয়াছিলাম যে, গানের কথাকেই গানের সুরের দ্বারা পরিস্ফুট করিয়া তোলা এই শ্রেণীর সংগীতের মুখ্য উদ্দেশ্য। আমার প্রবন্ধে লিখিত অংশ অল্পই ছিল। আমি দৃষ্টান্ত দ্বারা বক্তব্যটিকে সমর্থনের চেষ্টায় প্রায় আগাগোড়াই নানাপ্রকার সুর দিয়া নানাভাবের গান গাহিয়াছিলাম। সভাপতি মহাশয় ‘বন্দে বাল্মীকি-কোকিলং’ বলিয়া আমার প্রতি যে প্রচুর সাধুবাদ প্রয়োগ করিয়াছিলেন আমি তাহার প্রধান কারণ এই বুঝি যে, আমার বয়স তখন অল্প ছিল এবং বালককণ্ঠে নানা বিচিত্র গান শুনিয়া তাহার মন আদ্র হইয়াছিল।” পত্রিকার পাদটীকায় লেখা হয়, “এই বক্তৃতাতে বক্তার মত উদাহরণ দ্বারা সমর্থিত হইয়াছিল। এই বক্তৃতাতে বহু সংখ্যক গান গাহিয়া কি-কি সুরবিন্যাস দ্বারা কি-কি ভােব প্রকাশিত হয়, তাহারই দৃষ্টান্ত দেওয়া হইয়াছিল। বিভিন্ন ভাব-ব্যঞ্জক গানের ভাবকে ও তৎসঙ্গে সুরকে বিশ্লেষণ করিয়া বক্তা নিজ-মত সমর্থন করিয়াছিলেন। সে সকল উদাহরণে কাঠের সাহায্য আবশ্যক, এ নিমিত্ত সমস্তই পরিত্যাগ করিতে হইল, কেবল মাত্র ভূমিকা ও উপসংহার প্রকাশিত হইতেছে। —সং।” পত্রিকায় শিরোনামের নীচেই মুদ্রিত হয় (বেথুন সোসাইটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বক্তৃতা)'-ভারতী-তে এইটিই রবীন্দ্ৰনাথের প্রথম নামাঙ্কিত রচনা। भेिन्न শিল্প-বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের নিম্নলিখিত দুইটি রচনা এখানে সংকলিত হইয়াছে : ১. [। মন্দিরপথবর্তিনী ] ভারতী, আষাঢ় ১৩০৫ ২. মন্দিরাভিমুখে প্ৰদীপ, পৌষ ১৩০৫ ১. গণপতি কাশীনাথ হ্মাত্রে (মহাত্রে, ১৮৭৬-১৯৪৭) বোম্বাইয়ের স্যার জে. জে. স্কুল অব আর্ট হইতে শিক্ষা সমাপ্ত করিয়া টু দি টেম্পল’ নামের ৫ ফুট দীর্ঘ প্লাস্টার অব প্যারিসের এক নারীমূর্তি প্রস্তুত করেন। ইহার জন্য তিনি বম্বে আর্ট সোসাইটির পদক লাভ করেন (১৮৯৫)। এই মূর্তির সম্মুখ ও পার্থের দুইটি ফোটােগ্রাফ ভারতশিল্পের বিশিষ্ট পণ্ডিত স্যার জর্জ বার্ডউডের নিকট পাঠাইয়া ছাত্রটির যুরোপে শিক্ষালাভের সুযোগ করিয়া দেওয়ার জন্য প্রার্থনা জানানো হইয়াছিল। স্যার বার্ডউড ফোটােগ্রাফ দুইটি তাহার সম্পাদিত The Journal of Indian Arts and industries first eitiest fits fosis art করেন। উক্ত ফোটোগ্রাফ ও মন্তব্য অবলম্বন করিয়া রবীন্দ্ৰনাথ ‘প্ৰসঙ্গকথা’ শিরোনামে বর্তমান রচনাটি লিখিয়াছেন। রবীন্দ্রনাথ প্রবন্ধের ভিতরে মূর্তিটিকে ‘মন্দিরপথবর্তনী” বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন, তাহা হইতে শিরোনামটি গ্রহণ করা হইয়াছে। । ২. ‘মন্দিরাভিমুখেও একই বিষয় অবলম্বনে লিখিত। তবে প্ৰবন্ধটি সচিত্র, স্যার বার্ডউডের শুরুতেই রবীন্দ্রনাথ যে লিখিয়াছেন, ইংরাজিপত্রে একটি ছোটােখাটো রকমের দ্বন্দ্বযুদ্ধ হইয়া እፄ ll d:o