পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজন তরুর শাখে একাকি পাখিটি ডাকে, কবিতা । শুধইতে গেনু তার কাছে, - “পাখি তুই এ আঁধারে । গান শুনাইবি করে ? এ কাননে কে বা তোর আছে! যখনি ফুরাবে তোর প্রাণ, । যখনি থামিবে তোর গান, दन छिन रश्मन नैशहरा, তেমনি নীরব পুন হবে। যেমনি থামিবে গীত, আমনি সে সচকিত প্ৰকাশকাল : ১২৮৯ প্ৰতিধ্বনি আকাশে মিলাবে, তোর গান তোরি সাথে যাবে! আকাশে ঢালিয়া দিয়া প্ৰাণ, তবে, পাখি, কেন গ্যাস গান ? কেন, পাখি, কেন ? ) 6न९3 दल, ‘छानि नां, खनेि ना!" কেন গান শুনাই এসো সখি, এসো মোর কাছে, কথা এক শুধাবার আছে! চেয়ে তব মুখপানে বসে এই ঠাইপ্রতিদিন যত গান তোমারে শুনাই, বুঝিতে কি পার সখি কেন যে তা গাই? শুধু কি তা পশে কানে ? কথাগুলি তার কোথা হতে উঠিতেছে ভাবো একবার ? বুঝি না কি হৃদয়ের কোনখানে শেল ফুটে তবে প্ৰতি কথাগুলি আর্তনাদ করি উঠে ! যখন নয়নে উঠে বিন্দু অশ্রুজল, তখন কি তাই তুই দেখিস কেবল ? দেখ না কি কী সমুদ্র হৃদয়েতে উথলিছে, শুধু কণামাত্র তার আঁখিপ্রান্তে বিগলিছে! যখন একটি শুধু উঠে রে নিশ্বাস, তখন কি তাই শুধু শুনিবারে পাস? শুনিস না কী ঝটিকা হৃদয়ে বেড়ায় ছুটে । একটি উচ্ছাস শুধু বাহিরেতে ফুটে৷ যে কথাটি বলি আমি শোনাে শুধু তাই ? শোনো না কি যত কথা বলা হইল না? যত কথা বলিবারে চাই?