পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WeND इीच-वक्रमादर्की মালতীর শান্ত সেই হাসিটির সাথে হািদয়ে জাগিত যেন প্ৰভাত পবন, নূতন জীবন যেন সঞ্চারিত মনে । ছেলেবেলাকার যত কবিতা আমার সে হাসির কিরণেতে উঠেছিল ফুটি । তাইতে শৈশব-গান উঠিত বাজিয়া । এমনি আসিত সন্ধ্যা; শ্রান্ত জগতেরে স্নেহময় কোলে তার ঘুম পাড়াইতে । সুবৰ্ণ সলিলসিক্ত সায়াহ্ন-অম্বরে গোধূলির অন্ধকার নিঃশব্দ চরণে ছোটো ছোটো তারাগুলি দিত ফুটাইয়া, নন্দনবনের যেন চাপা ফুল দিয়ে ফুলশয্যা সাজাইত সুরবালাদের। মালতীরে লয়ে পাশে আসিতাম হেথা; সন্ধ্যার সংগীতস্বরে মিলাইয়া স্বর মৃদুস্বরে শুনাতেম শৈশব-কবিতা। হৰ্ষময় গর্বে তার অর্মাখি উজলিত একদৃষ্টে মুখপানে রহিত চাহিয়া। তার সে হরষ হেরি আমারো হািদয়ে কেমন মধুর গর্ব উঠিত উথলি! ক্ষুদ্র এক কুটির আছিল আমাদের, নিস্তব্ধ-মধ্যাহ্নে আর নীরব সন্ধ্যায় দূর হতে তটিনীর কলস্বর আসি শান্ত কুটিরের প্রাণে প্ৰবেশিয়া ধীরে করিত সে কুটিরের স্বপন রচনা। দুই জনে ছিনু মোরা কল্পনার শিশু বনশ্ৰীীর পদধবনি পেতাম শুনিতে । যাহা কিছু দেখিতাম সকলোরি মাঝে জীবন্ত প্ৰতিমা যেন পেতেম দেখিতে । ভ্ৰমিতাম যমুনার পুলিনে পুলিনে, মনে হত এ রজনী পোহাতে চাবে না, Ş::