পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবিতা প্রভাতের বায়ু ধীরে উঠিছে জাগিয়া, আসিছে মলিন হয়ে আঁধারের মুখ। তখন আলয়ে দেহে আসিতাম ফিরি, আসিতে আসিতে পথে শুনিতাম মোরা গাইছে বিজনকুঞ্জে বউ-কথা-কও। ক্রমশ বালককাল হল অবসান, নীরদের প্ৰেমদৃষ্টে পড়িল মালতী, নীরদের সাথে তার হইল বিবাহ। মাঝে মাঝে যাইতাম তাদের আলয়ে; দেখিতাম মালতীর শাস্ত সে হাসিতে কুটিরেতে রাখিয়াছে প্ৰভাত ফুটায়ে! সঙ্গীহারা হয়ে আমি ভ্ৰমিতাম। এক, নিরাশ্রয় এ-হৃদয় অশান্ত হইয়া কাদিয়া উঠিত যেন অধীর উচ্ছাসে। কোথাও পেত না যেন আরাম বিশ্রাম। অন্যমনে আছি। যবে, হৃদয় আমার সহসা স্বপন ভাঙি উঠিত চমকি । সহসা পেত না ভেবে, পেত না খুজিয়া আগে কী ছিল রে যেন এখন তা নাই। প্রকৃতির কি যেন কী গিয়াছে হারায়ে মনে তাহা পড়িছে না। ছেলেবেলা হতে প্রকৃতির যেই ছন্দ এসেছি শুনিয়া সেই ছন্দোভঙ্গ যেন হয়েছে তাহার, সেই ছন্দে কী কথার পড়েছে। অভাবকানেতে সহসা তাই উঠিত বাজিয়া, হৃদয় সহসা তাই উঠিত চমকি । জানি না কিসের তরে, কী মনের দুখে দুয়েকটি দীর্ঘশ্বাস উঠিত উচ্ছসি। শিখর হতে শিখরে, বন হতে বনে, অন্যমনে একেলাই বেড়াতাম ভ্ৰমিসহসা চেতন পেয়ে উঠিয়া চমকি সবিস্ময়ে ভাবিতাম, কেন ভ্ৰমিতেছি, कन डिधिरे उांश (श्रङश नां उदि! একদিন নবীন বসন্ত-সামীরণে বউ-কথা-কও যবে খুলেছে হৃদয়, বিষাদে সুখেতে মাখা প্রশান্ত কী ভাব প্রাণের ভিতরে যবে রয়েছে ঘুমায়ে, দেখিানু বালিকা এক, নির্বারের ধারে ۹ وي .