পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী দুপাশে কুন্তলজাল পড়েছে এলায়ে, মুখেতে পড়েছে তার উদ্যার কিরণ। কাছোতে গেলাম তার, কাটা বাছি ফেলি। কানন-গোলাপ তারে দিলাম তুলিয়া। প্রতিদিন সেইখানে আসিত দামিনী তুলিয়া দিতাম ফুল, শুনাতেম গান, কহিতাম। বালিকারে কত কী কাহিনী, শুনি সে হাসিত কীভূ, শুনিত না কীভূ, আমি ফুল তুলে দিলে ফেলিত ছিাড়িয়া। ভৎসনার অভিনয়ে কহিত কত কী। . কীভূ বা লুকুটি করি রহিত বসিয়া, হাসিতে হাসিতে কিছু যাইত পলায়ে, অলীক শরমে কাভু হইত। অধীর। কিন্তু তার ভুকুটিতে, শরমে, সংকোচে, লুকানো প্রেমেরি কথা করিত প্ৰকাশ! এইরূপে প্ৰতি উষা যাইত কাটিয়া। একদিন সোঁ-বালিকা না আসিত যদি হাদয় কেমন যেন হইত বিকলপ্রভাত কেমন যেন যেত না কাটিয়াদিন যেত অতি ধীরে নিরাশ-চরণে। নূতন বসন্তে পুনঃ হাসিল ধরণী, প্ৰভাতে অলসভাবে, বসি তরুতলে, দামিনীরে শুধালেম কথায় কথায় ‘দামিনী, তুমি কি মোরে ভালোবাস বালা ?” অলীক-শরম-রোষে লুকুটি করিয়া ছুটে সে পলায়ে গেল দূর বানান্তরেछनेि ना की ख्ादि भूनs कृSिना चानिया “ভালোবাসি- ভালোবাসি-” কহিয়া আমনি শরমে-মাখানো মুখ লুকালো এ বুকে । এই রাপে দিন যেত স্বপ্ন খেলা খেলি । কত ক্ষুদ্র অভিমানে কঁাদিত বালিকা, কত ক্ষুদ্র কথা লয়ে হাসিত হরযেকিন্তু জানিতাম কি রে এই ভালোবাসা দুদিনের ছেলেখেলা, আর কিছু নয়? কে জানিত প্ৰভাতের নবীন কিরণে এমন শতেক ফুল উঠে রে ফুটিয়া প্ৰভাতের বায়ু সনে খেলা সাঙ্গ হলে আপনি শুকগরে শেষে করে পড়ে যায় ওই কুসুমের সাথে খসে পড়ে গেল।