পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रवैौठ-ब्रक्रमांशजौ ج ه لا দেবতা— তিনি হিন্দুও নন, মুসলমানও নন। তোমার মেজো ছেলে করিম, তাকে আমি মনের মধ্যে গ্রহণ করেছি— আমার ধর্যকর্ম ওরই সঙ্গে বাধা পড়েছে। ভূমি মুসলমান করে নাও আমাকে, তাতে আমার আপত্তি হবে না— আমার মাহয় দুই ধর্মই থাকল।” এমনি করে চলল ওদের জীবনযাত্রা, ওদের পূর্বতন পরিজনদের সঙ্গে আর দেখাসাক্ষাতের কোনো সম্ভাবনা রইল না। এ দিকে ছবির খী কমলা যে ওদের পরিবারের কেউ নয়, সে কথা ভুলিয়ে দেবার চেষ্টা করলে— ওর নাম হল মেহেরজান। ইতিমধ্যে ওর কাকার দ্বিতীয় মেয়ের বিবাহের সময় এল । তার বন্দোবস্তও হল পূর্বের মতে, আবার এল সেই বিপক্ষ। পথের মধ্যে হুঙ্কার দিয়ে এসে পড়ল সেই ডাকাতের দল। শিকার থেকে একবার তারা বঞ্চিত হয়েছিল সে দুঃখ তাদের ছিল, এবার তার শোধ নিতে চায় । কিন্তু তারই পিছন পিছন আর এক হুঙ্কার এল, “খবরদার ” *ঐরে, হবির খার চেলার এসে সব নষ্ট করে দিলে ।” কন্যাপক্ষরা যখন কন্যাকে পালকির মধ্যে ফেলে রেখে ষে যেখানে পেল দৌড় মারতে চায় তখন তাদের মাঝখানে দেখা দিল হবির খায়ের অর্ধচন্দ্র-অঁাক পতাকা বাধা বর্শার ফলক। সেই বর্শা নিয়ে দাড়িয়েছে নিৰ্ভয়ে একটি রমণী । সরলাকে তিনি বললেন, “বোন, তোর ভয় নেই। তোর জন্ত আমি তার আশ্রয় নিয়ে এসেছি যিনি সকলকে আশ্রয় দৈন ! যিনি কারো জাত বিচার করেন না।— “কাকা, প্রণাম তোমাকে । ভয় নেই, তোমার পা ছোব না। এখন একে তোমার ঘরে নিয়ে যাও, একে কিছুতে অস্পৃগু করে নি। কাকিকে বোলো অনেক দিন তার অনিচ্ছুক অন্নবস্ত্রে মানুষ হয়েছি, সে ঋণ যে আমি এমন করে আজ শুধতে পারব তা ভাবি নি। ওর জন্তে একটি রাঙা চেলী এনেছি, সে এই নাও, আর একটি কিংখাবের আসন। অামার বোন যদি কখন দুঃখে পড়ে তবে মনে থাকে যেন তার মুসলমান দিদি আছে, তাকে রক্ষা করবার জন্যে ।” २8-२८ खून >>8> আষাঢ় ১৩৬২