পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২০ রবাশ্র-রচনাবলী হইবে তাহা এতদিনে তাহারা বুঝিতে পারিল। কিন্তু পণ্ডিতমহাশয় দ্বয়ের কোনো টাই বুঝিলেন না। করুণা আজকাল কিছু মনের কষ্টে আছে। মনের উল্লাসে বিজন কাননে সে খেলা করিবে, বক্ষে করিয়া লইয়া পাখির সঙ্গে কত কী কথা কহিবে, কোলের উপর রাশি রাশি ফুল রাখিয়া পান্থটি ছড়াইয় আপন মনে গুন গুন করিয়া গান গাইতে গাইতে মালা গাখিবে, যাহাকে ভালোবাসে তাহার মুখের পানে চাহিয়া চাহিয়া অফুট আহলাদে বিহ্বল ও অস্ফুট ভাবে ভোর হইয়া বাইবে— সেই বালিকা বড়ো কষ্ট পাইয়াছে। তাহার মনের মতো কিছুই হয় না। অভাগিনী যে নরেন্দ্রকে এত ভালোবাসে— যাহাকে দেখিলে খেলা ভুলিয়া যায়, মালা ফেলিয়া দেয়, পাখি রাখিয়া দিয়া ছুটিয়া আসে, সে কেন করুণাকে দেখিলে যেন বিরক্ত হয়। করুণ হাসিতে হাসিতে চুটিয়া গিয়া তাহাকে কী বলিতে আসে, সে কেন ভ্ৰকুঞ্চিত করিয়া মুখ ভার করিয়া থাকে। করুণ তাহাকে কাছে বসিতে কত মিনতি করে, সে কেন কোনো ছল করিয়া চলিয়া যায়। নরেন্দ্র তাহার সহিত এমন নিজীবভাবে এমন নীরসভাবে কথাবার্তা কয়, সকল কথায় এমন বিরক্তভাবে উত্তর দেয়, সকল কাজে এমন প্রভূভাবে আদেশ করে যে, বালিকার খেলাঘুরিয়া যায় ও মালা গাথা সাঙ্গ হয় বুঝি— বালিকার আর বুঝি পাখির সহিত গান গাওয়া হইয় উঠে না। মূল কথাটা এই, নরেন্দ্র ও করুণায় কখনোই বনিতে পারে না। দুইজনে দুই বিভিন্ন উপাদানে নির্মিত। নরেন্দ্র করুণার সেই ভালোবাসার কত কী অসংলগ্ন কথার মধ্যে কিছুই মিষ্টতা পাইত না, তাহার সেই প্রেমে-মাখানে অতৃপ্ত স্থির দৃষ্টি-মধ্যে ঢলঢল লাবণ্য দেখিতে পাইত না, তাহার সেই উচ্ছসিত নিঝরিণীর ন্যায় অধীর সৌন্দর্যের •মিষ্টতা নরেন্দ্র কিছুই বুঝিত না। কিন্তু সরলা করুণ, সে অত কী বুৰিবে! সে ছেলেবেলা হইতেই নরেস্ত্রের গুণ ছাড়া দোষের কথা কিছুই শুনে নাই। কিন্তু করুণার একি দায় হইল। তাহার কেমন কিছুতেই আণ মিটে না, সে জাশ মিটাইয়া নরেঙ্গকে দেখিতে পায় না, সে আশ মিটাইয়া মনের সকল কথা নরেজকে বলিতে পারে ন— সে সকল কথাই বলে অথচ মনে করে যেন কোনো কথাই বলা হইল না। একদিন নরেন্দ্রকে বেশ পরিবর্তন করিতে দেখিয়া করুণা জিজ্ঞাসা করিল, “কোথায় যাইতেছ।” নরেন্দ্ৰ কহিলেন, "কলিকাতায় ।” করুণা। কলিকাতায় কেন বাইবে । माद्रव अकूक्षिउ कब्रिड्रा cशब्लांटजब्र क्ट्रिक भूष क्ब्रिाहेब्र कश्लि, “कांज मा षांकिरण কখনো যাইতাম না।” 《)