পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২ রবীন্দ্র-রচনাবলী । কে কেমন বোঝে অর্থ তাহার, কেহ এক বলে, কেহ বলে জার, আমারে শুধায় বৃথা বার বার— দেখে তুমি হাস বুঝি। কে গো তুমি, কোথা রয়েছ গোপনে আমি মরিতেছি খুজি । শুধু কি কবিতা-লেখার একজন কর্তা কবিকে অতিক্রম করিয়া তাহার লেখনী চালন করিয়াছেন ? তাহা নহে। সেইসঙ্গে ইহাও দেখিয়াছি যে, জীবনটা যে গঠিত হইয়া উঠতেছে, তাহার সমস্ত মুখদুঃখ, তাহার সমস্ত যোগবিয়োগের বিচ্ছিন্নতাকে কে একজন একটি অখণ্ড তাৎপর্যের মধ্যে গাথিয়া তুলিতেছেন। সকল সময়ে আমি তাহার আমুকূল্য করিতেছি কি না জানি না, কিন্তু আমার সমস্ত বাধা-বিপত্তিকেও, আমার সমস্ত ভাঙাচোরাকেও তিনি নিয়তই গাথিয়া জুড়িয়া দাড় করাইতেছেন। কেবল তাই নয়, আমার স্বাধ, আমার প্রবৃত্তি, আমার জীবনকে ষে অর্থের মধ্যে সীমাবদ্ধ করিতেছে তিনি বারে বারে সে সীমা ছিন্ন করিয়া দিতেছেন– তিনি মৃগভীর বেদনার দ্বারা, বিচ্ছেদের দ্বারা বিপুলের সহিত, বিরাটের সহিত তাহাকে যুক্ত করিয়া দিতেছেন। সে যখন একদিন হাট করিতে বাহির হইয়াছিল তখন বিশ্বমানবের মধ্যে সে আপনার সফলতা চায় নাই— সে আপনার স্বরের স্থখ ঘরের সম্পদের জন্তই কড়ি সংগ্ৰহ করিয়াছিল। কিন্তু সেই মেঠো পথ, সেই ঘোরো স্কুখদু:খের দিক হইতে কে তাহাকে জোর করিয়া পাহাড়-পর্বত অধিত্যক-উপত্যকার দুর্গমতার মধ্য দিয়া টানিয়া লইয়া যাইতেছে। এ কী কৌতুক নিত্য-নূতন erशा ८कोछूकशग्रैौ ! যে দিকে পান্থ চাহে চলিবারে চলিতে দিতেছ কই ? গ্রামের ষে পথ ধায় গৃহপানে, চাষিগণ ফিরে দিবা-অবসানে, গোঠে ধায় গোরু, বৰূ জল জানে শতবার যাতায়াতে— একদা প্রথম প্রভাতবেলায় cन भtथ हांश्द्रि श्हेश tइजांग्र,