২১৬ রবীন্দ্র-রচনাবলী কারো কারো পক্ষে ধর্ম জিনিসটা সংসারের রণে ভঙ্গ দিয়ে পালাবার ভঙ্গ পথ । নিক্রিয়তার মধ্যে এমন-একটা চুটি নেওয়া ষে চুটিতে লজ্জা নেই, এমনকি, গৌরব আছে । অর্থাৎ, সংসার থেকে জীবন থেকে ষে-যে অংশ বা দিলে কর্মের দায় চোকে, ধর্মের নামে সেই সমস্তকে বাদ দিয়ে একটা হাফ ছাড়তে পারার জায়গা পাওয়াকে কেউ কেউ ধর্মের উদ্দেশু মনে করেন। এরা হলেন বৈরাগী। আবার ভোগীর দলও আছেন। তারা সংসারের কতকগুলি বিশেষ রসসম্ভোগকে আধ্যাত্মিকতার মধ্যে চোলাই করে নিয়ে তাই পান করে জগতের জার-সমস্ত ভুলে থাকতে চান। অর্থাৎ একদল এমন-একটি শাস্তি চান যে শাস্তি সংসারকে বাদ দিয়ে, আর অন্যদল এমন-একটি স্বৰ্গ চান ষে স্বৰ্গ সংসারকে ভূলে গিয়ে। এই দুই দলই পালাবার পথকেই ধর্মের পথ বলে মনে করেন । আবার এমন দলও আছেন যারা সমস্ত সুখদুঃখ সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দ্ব -সমেত এই সংসারকেই সত্যের মধ্যে জেনে চরিতার্থতা লাভ করাকেই ধর্ম বলে জানেন। সংসারকে সংসারের মধ্যেই ধরে দেখলে তার সেই পরম অর্থটি পাওয়া যায় না যে অর্থ তাকে সর্বত্র ওতপ্রোত করে এবং সকল দিকে অতিক্রম করে বিরাজ করছে। অতএব কোনো অংশে সত্যকে ত্যাগ করা নয় কিন্তু সর্বাংশে সেই সত্যের পরম অর্থটিকে উপলব্ধি করাকেই তারা ধর্ম বলে জানেন । ইস্কুল পালানোর দুটো লক্ষ্য থাকতে পারে । এক, কিছু না-করা ; আর-এক, মনের মতো খেলা করা। ইস্কুলের মধ্যে ষে একটা সাধনার দুঃখ আছে সেইটে থেকে নিষ্কৃতি পাবার জন্যেই এমন করে প্রাচীর লঙ্ঘন, এমন করে দরোয়ানকে ঘুষ দেওয়া। কিন্তু আবার ঐ সাধনার দুঃথকে স্বীকার করবারও দু-রকম দিক আছে। একদল ছেলে আছে তারা নিয়মকে শাসনের ভয়ে মানে, আর-এক দল ছেলে অভ্যস্ত নিয়মপালনটাতেই আশ্রয় পায়— তারা প্রতিদিন ঠিক দস্তুরমত, ঠিক সময়মত, উপরওয়ালার আদেশমত যন্ত্রবং কাজ করে যেতে পারলে নিশ্চিন্ত হয় এবং তাতে যেন একটা-কিছু লাভ হল বলে আত্মপ্রসাদ অনুভব করে। কিন্তু এই দুই দলেরই ছেলে নিয়মকেই চরম বলে দেখে, তার বাইরে কিছুকে দেখে না। কিন্তু এমন ছেলেও আছে ইস্কুলের সাধনার দুঃখকে স্বেচ্ছায়, এমন-কি, জানলে ৰে গ্রহণ করে, যেহেতু ইস্কুলের অভিপ্রায়কে সে মনের মধ্যে সত্য করে উপলব্ধি করেছে। এই অভিপ্রায়কে সত্য করে জানছে বলেই সে যে মুহূর্তে দুঃখকে পাচ্ছে সেই মুহূর্তে দুঃখকে অতিক্রম করছে, যে মুহূর্তে নিয়মকে মানছে সেই মুহূর্তে তার মন তার থেকে डिजांच् कब्राइ। ७रे ख्रेि गैडाकांद्र भूङि। नाश्ना cषक ५फिाइ निरन्न मूरूि
