পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇ9e ब्रयौठ-ब्रक्रमांबजौ পরিচয় হত তা হলে সেই অসম্পূর্ণতায় আমাদের আত্মা কোনো আশ্রয় পেত নাতা হলে জগৎ রক্ষা পেত কোথায় । তাই তো মানুষ তাকে ডাকছে, ক্ষত্র স্বত্তে দক্ষিণং মুখং তেন মাং পাহি নিত্যমূ– রুত্ৰ, তোমার যে প্রসন্ন মুখ, তার দ্বারা আমাকে রক্ষা করো। চরম সত্য এবং পরম সত্য হচ্ছে ঐ প্রসন্ন মুখ । সেই সত্যই হচ্ছে সকল রুদ্রতার উপরে। কিন্তু এই সত্যে পৌছতে গেলে রুত্রের স্পর্শ নিয়ে যেতে হবে। রুদ্রকে বাদ দিয়ে যে প্রসন্নতা, অশান্তিকে অস্বীকার করে যে শাস্তি, সে তো স্বপ্ন, সে সত্য নয় । বজ্ৰে তোমার বাজে বঁাশি, সে কি সহজ গান । সেই স্বরেতে জাগব আমি দাও মোরে সেই কান ৷ ভুলব না আর সহজেতে, সেই প্রাণে মন উঠবে মেতে মৃত্যুমাঝে ঢাকা আছে ষে অন্তহীন প্রাণ । সে ঝড় যেন সই আনন্দে চিত্তবীণার তারে সপ্ত সিন্ধু দশ দিগন্ত নাচাও যে ঝংকারে । আরাম হতে ছিন্ন করে সেই গভীরে লও গো মোরে অশাস্থির অন্তরে যেখায় শাপ্তি স্বমহান । ‘শারদোৎসব থেকে আরম্ভ করে ‘ক্ষান্ধনী পর্যস্ত যতগুলি নাটক লিখেছি, যখন বিশেষ করে মন দিয়ে দেখি তখন দেখতে পাই, প্রত্যেকের ভিতরকার ধুয়োটা ঐ একই । রাজা বেরিয়েছেন সকলের সঙ্গে মিলে শারদোৎসব করবার জন্তে । তিনি খুঁজছেন তার সাথি । পথে দেখলেন ছেলের শরৎপ্রকৃতির জানলে ৰোগ দেবার জন্ধে উংসব করতে বেরিয়েছে। কিন্তু একটি ছেলে ছিল— উপনঙ্গ— সমস্ত খেলাধুলা ছেড়ে সে তার প্রস্তুর বর্ণ শোধ করবার জন্তে নিভৃতে বলে একমনে কাজ করছিল। রাজা বললেন, তার সত্যকার সাৰি মিলেছে, কেননা ঐ ছেলেটির সঙ্গেই শরৎএকৃতির