পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মপরিচয় ९8७ আমাদের পরিবারে আমার জীবনরচনার ষে ভূমিকা ছিল তাকে আহুধাবন করে দেখতে হবে। আমি যখন জন্মেছিলুম তখন আমাদের সমাজের যে-সকল প্রথার মধ্যে অর্থের চেয়ে অভ্যাস প্রবল তার গতায়ু অতীতের প্রাচীরবেষ্টন ছিল না আমাদের ঘরের চারি দিকে। বাড়িতে পূর্বপুরুষদের প্রতিষ্ঠিত পূজার দালান শূন্ত পড়ে ছিল, তার ব্যবহার-পদ্ধতির অভিজ্ঞতামাত্র আমার ছিল না। সাম্প্রদায়িক গুহাচর যে-সকল অমুকল্পনা, বে-সমস্ত কৃত্রিম আচারবিচার মামুষের বুদ্ধিকে বিজড়িত করে আছে, বহু শতাব্দী জুড়ে নানা স্থানে নানা অদ্ভূত আকারে এক জাতির সঙ্গে অন্ত জাতির দুর্বায়তম বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে, পরম্পরের মধ্যে ঘৃণা ও তিরস্কৃতির লাঞ্ছনাকে মজাগত অঙ্গসংস্কারে পরিণত করে তুলেছে, মধ্যযুগের অবসানে যার প্রভাব সমস্ত সভ্যদেশ থেকে হয় সরে গিয়েছে নয় অপেক্ষাকৃত নিষ্কণ্টক হয়েছে, কিন্তু বা আমাদের দেশে সর্বত্র পরিব্যাপ্ত থেকে কী রাষ্ট্রনীতিতে কী সমাজব্যবহারে মারাত্মক সংঘাতরূপ ধরেছে, তার চলাচলের কোনো চিহ্ন সদরে বা অম্বরে জামাদের ঘরে কোনোখানে ছিল না । এ কথা বলবার তাৎপর্য এই যে, জন্মকাল থেকে আমার যে প্রাণরূপ রচিত হয়ে উঠেছে তার উপরে কোনো জীর্ণ যুগের শাস্ত্রীয় অৰলেপন ঘটে নি। তার রূপকারকে জ্ঞাপন নবীন স্বাক্টকার্ষে প্রাচীন অঙ্কুশাসনের উম্ভত তর্জনীয় প্রতি সর্বদ্বা ग्रउँ णच्ह वांक्षांख् छ्ष्ा नि । এই বিশ্বরচনায় বিস্ময়করুত আছে, চারি দিকেই আছে অনির্বচনীয়তা ; তার সঙ্গে মিশ্রিত হতে পারে নি আমার মনে কোনো পৌরাণিক বিশ্বাস, কোনো বিশেষ পার্বণবিধি । আমার মনের সঙ্গে অবিমিশ্র যোগ হতে পেরেছে এই জগতের । বাল্যকাল থেকে অতি নিবিড়ভাবে আনন্দ পেয়েছি বিশ্বপ্তে। সেই জানাবোধের চেয়ে সহজ পূজা আর কিছু হতে পারে না, সেই পূজার দীক্ষা বাইরে থেকে নয়, তার মন্ত্র নিজেই রচনা করে এসেছি । বাল্যবয়সের শীতের ভোরবেলা আজও আমার মনে উজ্জল হয়ে আছে । রাত্রের অন্ধকার বেই পাণ্ডুবৰ্ণ হয়ে এসেছে আমি তাড়াতাড়ি গায়ের লেপ ফেলে দিয়ে উঠে পড়েছি। বাড়ির ভিতরের প্রাচীর-ঘেরা বাগানের পূর্বপ্রান্তে এক-সার নারকেলের পাতার ঝালম্ব তখন অক্ষণ-জাতায় শিশিল্পে ঝলমল করে উঠেছে। একদিনও পাছে gD BBBB BBBBB BBD DDD DD B BDDD BBD DD D DD बूकद्र कारह इहे शठ cव्रन शरद नेउरक खेरणच क्रह इts cषङ्क । फेखन क्रिक টেকিশালের গায়ে ছিল একটা পুরোনো বিলিতি জামড়ার গাছ, অন্য কোণে ছিল কুলগাছ জীর্ণ পাতকুয়োর ধারে – কুপখালোলুপ • মেয়ের ছপুরবেলায় তার তলায়