পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৬ ब्ररीौटज-ब्रफ़नांवलौ কাব্য ও ছন্দ গন্তকাব্য নিয়ে সম্বিন্ধ পাঠকের মনে তর্ক চলছে। এতে আশ্চর্যের বিষয় নেই। ছন্দের মধ্যে যে বেগ আছে সেই বেগের অভিঘাতে রসগর্ত বাক্য সহজে হৃদয়ের মধ্যে প্রবেশ করে, মনকে দুলিয়ে তোলে— এ কথা স্বীকার করতে হবে। শুধু তাই নয়। ষে সংসারের ব্যবহারে গদ্য নানা বিভাগে নানা কাজে খেটে মরছে কাব্যের জগৎ তার থেকে পৃথকৃ। পষ্ঠের ভাষাবিশিষ্টতা এই কথাটাকে স্পষ্ট করে ; স্পষ্ট হলেই মনটা তাকে স্বক্ষেত্রে অভ্যর্থনা করবার জন্যে প্রস্তুত হতে পারে। গেরুয়াবেশে সন্ন্যাসী জানান দেয়, সে গৃহীর থেকে পৃথক ; ভক্তের মন সেই মূহূর্তেই তার পায়ের কাছে এগিয়ে আসে– নইলে সন্ন্যাসীর ভক্তির ব্যবসায়ে ক্ষতি হবার কথা । কিন্তু বলা বাহুল্য, সন্ন্যাসধর্মের মূখ্য তত্ত্বটা তার গেরুয়া কাপড়ে নয়, সেটা আছে তার সাধনার সত্যতায় । এই কথাটা যে বোঝে, গেরুয়া কাপড়ের অভাবেই তার মন আরো বেশি করে আকৃষ্ট হয় । সে বলে, আমার বোধশক্তির দ্বারাই সত্যকে চিনব, সেই গেরুয়া কাপড়ের দ্বারা নয়— যে কাপড়ে বহু অসত্যকে চাপা দিয়ে রাখে । ছন্দটাই যে ঐকাস্তিকভাবে কাব্য তা নয়। কাব্যের মূল কথাটা আছে রসে ; ছন্দটা এই রসের পরিচয় দেয় আনুষঙ্গিক হয়ে । সহায়তা করে দুই দিক থেকে । এক হচ্ছে, স্বভাবতই তার দোলা দেবার শক্তি আছে ; আর-এক হচ্ছে, পাঠকের চিরাভ্যস্ত সংস্কার । এই সংস্কারের কথাটা ভাববার বিষয়। একদা নিয়মিত অংশে বিভক্ত ছন্মই সাধু কাব্যভাষায় একমাত্র পাংক্তেয় বলে গণ্য ছিল। সেই সময়ে আমাদের কানের অভ্যাসও ছিল তার অন্থকূলে। তখন ছন্দে মিল রাখাও ছিল অপরিহার্য । এমন সময়ে মধুসূদন বাংলা সাহিত্যে আমাদের সংস্কারের প্রতিকূলে জানলেন অমিত্রাক্ষর ছন্দ। তাতে রইল না মিল । তাতে লাইনের বেড়াগুলি সমান ভাগে সাজানো বটে, কিন্তু ছন্দের পদক্ষেপ চলে ক্রমাগত্তই বেড়া ডিঙিয়ে। অর্থাৎ এর ভঙ্গি পষ্ঠের মতে। কিন্তু ব্যবহার গদ্যের চালে । সংস্কারে অনিত্যতার আর-একটা প্রমাণ দিই। এক সময়ে ङ्कजक्श्रृङ्ग नश्ला श्णि, সে অন্তঃপুরচারিণী। প্রথম ষে কুলক্ষ্মীর অস্তঃপুর থেকে অসংকোচে বেরিয়ে এলেন তার সাধারণের সংস্কারকে আঘাত করাতে তাদেরকে সন্দেহের চোখে দেখা ও অপ্রকাতে বা প্রকাশ্বে অপমানিত করা, প্রহসনের নায়িকারূপে তাদেরকে অট্টহাস্তের বিবর করh