পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१० রবীক্স-রচনাবলী রসস্বাক্টর সাধনা করেছি, অনেককে হয়তো আনন্দ দিতে পেরেছি, অনেককে হয়তো-বা দিতে পারি নি। তৰু এই বিষয়ে আমার বহু দিনের সঞ্চিত ষে অভিজ্ঞতা তার দোহাই দিয়ে দুটো-একটা কথা বলব ; আপনারা তা সম্পূর্ণ মেনে নেবেন, এমন কোনো মাথার দিব্য নেই। তর্ক এই চলেছে, গদ্যের রূপ নিয়ে কাব্য আত্মরক্ষা করতে পারে কি না। এতদিন ষে রূপেতে কাব্যকে দেখা গেছে এবং সে দেখার সঙ্গে আনন্দের ষে অনুষঙ্গ, তার ব্যতিক্রম হয়েছে গম্ভকাব্যে। কেবল প্রসাধনের ব্যত্যয় নয়, স্বরূপেতে তার ব্যাঘাত ঘটেছে। এখন তর্কের বিষয় এই যে, কাব্যের স্বরূপ ছন্দোবদ্ধ সজার পরে একান্ত নির্ভর করে কি না । কেউ মনে করেন, করে ; আমি মনে করি, করে না। অলংকরণের বহিরাবরণ থেকে মুক্ত করে কাব্য সহজে আপনাকে প্রকাশ করতে পারে, এ বিষয়ে আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে একটি দৃষ্টান্ত দেব। আপনার সকলেই অবগত আছেন, জবালাপুত্র সত্যকামের কাহিনী অবলম্বন করে আমি একটি কবিতা রচনা করেছি। ছান্দোগ্য উপনিষদে এই গল্পটি সহজ গদ্যের ভাষায় পড়েছিলাম, তখন তাকে সত্যিকার কাব্য বলে মেনে নিতে একটুও বাধে নি। উপাখ্যানমাত্ৰ— কাব্য-বিচারক একে বাহিরের দিকে তাকিয়ে কাব্যের পর্যায়ে স্থান দিতে অসম্মত হতে পারেন ; কারণ এ তে অনুষ্টুভ ত্রিইভ বা মন্দাক্রান্ত ছন্দে রচিত হয় নি। আমি বলি, হয় নি বলেই শ্রেষ্ঠ কাব্য হতে পেরেছে, অপর কোনো আকস্মিক কারণে নয় । এই সত্যকামের গল্পটি যদি ছন্দে বেঁধে রচনা করা হত তবে হালকা হয়ে যেত । সপ্তদশ শতাব্দীতে নাম-না-জানা কয়েকজন লেখক ইংরেজিতে গ্রীক ও হিব্রু বাইবেল অনুবাদ করেছিলেন । এ কথা মানতেই হবে যে, সলোমনের গান, ডেভিডের গাধা সত্যিকার কাব্য। এই অনুবাদের ভাষায় আশ্চর্য শক্তি এদের মধ্যে কাব্যের রস ও রূপকে নি:সংশয়ে পরিস্ফুট করেছে। এই গানগুলিতে গদ্যছন্দের ষে মুক্ত পদক্ষেপ আছে তাকে যদি পদ্যপ্রথার শিকঙ্গে বাধা হত তবে সর্বনাশই হত । যজুর্বেদে যে উদাত্ত ছন্দ্রের সাক্ষাং আমরা পাই তাকে আমরা পশু বলি না, বলি अज्ञ । श्रांशद्र! मृदांझे छांनेि ८द, ऋजव्र जका श्ल *tकब्र चथtिक क्षनिम्न डिडब्र निरब्र মনের গভীরে নিয়ে যাওয়া । সেখানে সে যে কেবল অর্থবান তা নয়, ধ্বনিমানও दाः । निःनाम८ट् बजाऊ शाब्रि cष, ७हे अछशtइब्र नॉर्षकठी चरनएक बटनम्न छिछब्र অনুভব করেছেন, কারণ তার ধ্বনি থামলেও অঙ্কুরণন ধামে না । একদা কোনো-এক অসতর্ক মুহূর্তে আমি আমার গীতাঞ্জলি ইংরেজি গতে অল্পবাদ করি। সেদিন বিশিষ্ট ইংরেজ সাহিত্যিকের আমার অনুবাদকে তাদের সাহিত্যের