পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের স্বরূপ áf ९१é আলোচনাসভায় আমার উক্তি অলংকারের ঝংকারে মুখরিত হয়ে ওঠে। এ কথাটা अ७Iस्त्र ८वधि छान। श्रङ्ग ८अिप्झ, cनखच्न अश् िजछि७ ७य९ बिङ्ख्द्र । अड७य, সমালোচনায় আসরে আমার আসন থাকতেই পারে না। কিন্তু রসের অসংযম প্রমথ চৌধুরীর লেখায় একেবারেই নেই। এ-সকল গুণেই মনে মনে তাকে জজের পদে বসিয়েছিলুম। কিন্তু বুঝতে পারছি, বিলম্ব হয়ে গেছে। তার বিপদ এই ষে, সাহিত্যে অরক্ষিত আসনে ষে খুশি চড়ে বসে। তার ছত্ৰদণ্ড ধরবার লোক পিছনে পিছনে জুটে যায়। এখানেই আমার শেষ কথাটা বলে নিই। আমার রচনায় ধারা মধ্যবিত্ততার সন্ধান করে পান নি ব’লে নালিশ করেন তাদের কাছে আমার একটা কৈফিয়ত দেবার সময় এল। পলিমাটি কোনো স্থায়ী কীতির ভিত বহন করতে পারে না। বাংলার গাঙ্গেয় প্রদেশে এমন কোনো সৌধ পাওয়া যায় না যা প্রাচীনতার স্পর্ব করতে পারে। এ দেশে আভিজাত্য সেই শ্রেণীর । আমরা যাদের বনৌবংশীয় বলে আখ্যা দিই তাদের বনেদ বেশি নীচে পর্বস্ত পৌছয় নি। এর অল্প কালের পরিসরের মধ্যে মাথা তুলে ওঠে, তার পরে মাটির সঙ্গে মিশে যেতে বিলম্ব করে না। এই আভিজাত্য সেইজন্য একটা আপেক্ষিক শব্দ মাত্র। তার সেই ক্ষণভঙ্গুর ঐশ্বর্যকে বেশি উচ্চে স্থাপন করা বিড়ম্বন, কেননা সেই কৃত্রিম উচ্চতা কালের বিদ্রুপের লক্ষ্য হয় মাত্র । এই কারণে আমাদের দেশের অভিজাতবংশ তার মনোবৃত্তিতে সাধারণের সঙ্গে অত্যন্ত স্বতন্ত্র হতে পারে না। এ কথা সত্য,এই স্বল্পকালীন ধনসম্পদের আত্মসচেতনতা অনেক সময়েই ছু:সহ অহংকারের সঙ্গে আপনাকে জনসম্প্রদায় থেকে পৃথক রাখবার আড়ম্বর করে। এই হাস্যকর বক্ষস্ফীতি আমাদের বংশে, অন্তত আমাদের কালে, একেবারেই ছিল না। কাজেই আমরা কোনোদিন বড়োলোকের প্রহসন অভিনয় করি নি। অতএব, আমার মনে যদি কোনো স্বভাবগত বিশেষত্ত্বের ছাপ পড়ে থাকে ত৷ বিস্তু প্রাচুর্য কেন, বিত্তসচ্ছলতারও নয়। তাকে বিশেষ পরিবারের পূর্বাপর সংস্কৃতির মধ্যে ফেলা খেতে পারে এবং এরকম স্বাতন্ত্রা হয়তো অন্য পরিবারেও কোনো বংশগত অভ্যাসবশত আত্মপ্রকাশ করে থাকে। বস্তুত এটা আকস্মিক। জাশ্চর্য এই ষে, সাহিত্যে এই মধ্যবিত্ততার অভিমান সহসা অত্যন্ত মেতে উঠেছে। কিছুকাল পূর্বে তরুণ' শব্দটা এইরকম ফণা তুলে ধরেছিল। আমাদের দেশে সাহিত্যে এইরকম জাতে-ঠেলাঠেলি জারভ হয়েছে হালে। আমি যখন মন্ধে গিয়েছিলুম, চেকভের রচনা সম্বন্ধে আমার আহুকুল অভিরুচি ব্যক্ত করতে গিয়ে হঠাৎ ঠোক্ষর খেয়ে দেখলুম,চেকভের লেখায় সাহিত্যের মেলবন্ধনে জাতিচু্যতিরোধ ঘটেছে, স্থতরাং তার নাটক স্টেজের মঞ্চে