পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭৬ রবীন্দ্র-রচনাবলী পঙক্তি পেল না। সাহিত্যে এই মনোভাব এত বেশি কৃত্রিম যে শুনতে পাই, এখন আবার হাওয়া বদল হয়েছে। এক সময়ে মাসের পর মাস আমি পল্পীজীবনের গল্প রচনা করে এসেছি। আমার বিশ্বাস, এর পূর্বে বাংলা সাহিত্যে পল্পীজীবনের চিত্র এমন ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হয় নি। তখন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লেখকের অভাব ছিল না, তারা প্রায় সকলেই প্রতাপসিংহ বা প্রতাপাদিত্যের ধানে নিবিষ্ট ছিলেন । আমার আশঙ্কা হয়, এক সময়ে গল্পগুচ্ছ' বুর্জেীয়া লেখকের সংসৰ্গদোষে অসাহিত্য বলে অস্পৃত হবে। এখনই যখন আমার লেখার শ্রেণী:নির্ণয় করা হয় তখন এই লেখাগুলির উল্লেখমাত্র হয় না, যেন ওগুলির অস্তিত্বই নেই। জাতে-ঠেলাঠেলি আমাদের রক্তের মধ্যে আছে তাই ভয় হয়, এই আগাছাটাকে উপড়ে ফেলা শক্ত হবে । কিছুকাল থেকে আমি দুঃসহ রোগদুঃখ ভোগ করে আসছি, সেইজন্য যদি বলে বসি ধারা আমার শুশ্রুষায় নিযুক্ত তারাও মুখে কালো রঙ মেখে অস্বাস্থ্যের বিরুত চেহারা ধারণ করে এলে তবেই সেটা আমার পক্ষে আরামের হতে পারে’, তা হলে মনোবিকারের আশঙ্কা কল্পনা করতে হবে । প্রকৃতির মধ্যে একটা নির্মল প্রসন্নতা আছে। ব্যক্তিগত জীবনে অবস্থার বিপ্লব ঘটে, কিন্তু তাতে এই বিশ্বজনীন দানের মধ্যে বিকৃতি ঘটে না— সেই আমাদের সৌভাগ্য । তাতে যদি আপত্তি করার একটা দল পাকাই তা হলে বলতে হয়, যারা নিঃস্ব তাদের জন্তে মরুভূমিতে উপনিবেশ স্থাপন করা উচিত, নইলে তাদের মনের তুষ্টি অসম্ভব। নিঃস্ব শ্রেণীর পাঠকদের জন্য সাহিত্যেও কি মরু-উপনিবেশ স্থাপন করতে হবে 1. शांख्रिनिटकउन ! s७8१ ? আষাঢ় ১৩৪৮ সাহিত্যের মূল্য cननि श्रमिरजङ्ग मात्र मॉश्रिटाद्र मृrजाद्र यांश्चंद्र निद्ररुग्न नद्रिबर्डम नचरक আলোচনা করেছিলেম ; সেইসঙ্গে বলেছিলেম যে, ভাষা সাহিত্যের বাহন, কালে কালে সেই ভাষার রূপান্থর ঘটতে থাকে। সেজন্য তার ব্যঞ্জনার অভয়ঙ্গতার কেবলই তারতম্য ঘটতে থাকে। কথাটা আর-একটু পরিষ্কার করে বলা আবশ্বৰ । আমার মতো গীতিকবিরা তাদের রচনায় বিশেষভাবে রসের অনির্বচনীয়তা নিয়ে কারবার করে থাকে। যুগে যুগে লোকের মুখে এই রসের স্বাদ সমান থাকে না, তার আদরের পরিমাণ ক্রমশই শুষ্ক নদীর জলের মতো তলায় গিয়ে ঠেকে। এইজক রসের