পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भशंज्रांगांकौ 33 দেশের অস্তরে স্বচ্যগ্রপরিমাণ ভূমি জয় করবে এমন শক্তি নেই তাদের। অস্ত্রের জোরে ভারতবর্ষকে অধিকার করেছে কত বিদেশী কতবার। মাটিতে রোপণ করেছে তাদের পতাকা, আবার সে পতাকা মাটিতে পড়ে খুলে হয়ে গেছে । অস্ত্রশস্ত্রের কাটাবেড় দিয়ে যারা বিদেশে আপন স্বত্বকে স্থায়ী করবার স্তুরাশ৷ মনে লালন করে, একদিন কালের জাহানে যে মুহূর্তে তার নেপথ্যে সরে দাড়ায়, उथमहे है$काष्ठंद्र ख्द्रशू* भूशैडूउ हछ उीरभद्र कौउिद्र चांदर्छन । चांद्र वैब्रि সত্যের বলে বিজয়ী তাদের আধিপত্য তাদের আয়ুকে অতিক্রম করে দেশের মর্মস্থানে বিরাজ করে । দেশের সমগ্র চিত্তে র্যার এই অধিকার তিনি সমস্ত দেশের হয়ে আজি আরো একটি জয়যাত্রায় প্রবৃত্ত হয়েছেন, চরম আত্মোংসর্গের পথে। কোন দুরূহ বাধা তিনি দূর করতে চান, যার জন্তে তিনি এত বড়ো মূল্য দিতে কুষ্ঠিত হলেন না, সেই কথাটি আজ আমাদের স্তব্ধ হয়ে চিন্তা করবার দিন । আমাদের দেশে একটি ভয়ের কারণ আছে । যে পদার্থ মানসিক তাকে আমরা বাহিক দক্ষিণ দিয়ে স্থলভ সম্মানে বিদায় করি। চিহ্নকে বড়ো করে তুলে সত্যকে খৰ্ব করে থাকি। আজি দেশনেতারা স্থির করেছেন যে দেশের লোকেরা উপবাস করবে। আমি বলি, এতে দোষ নেই, কিন্তু ভয় হয় ; মহাত্মাজি যে প্রাণপণ মূল্যের বিনিময়ে সত্যকে লাভ করবার চেষ্টা করছেন তার তুলনায় আমাদের কৃত্য নিতান্ত লঘু এবং বাহিক হয়ে পাছে লজ্জা বাড়িয়ে তোলে। হৃদয়ের আবেগকে কোনো একটা অস্থায়ী দিনের সামান্ত দুঃখের লক্ষণে ক্ষীণ রেখায় চিহ্নিত করে কর্তব্য মিটিয়ে দেবার মতো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে। আমরা উপবাসের অনুষ্ঠান করব, কেননা মহাত্মাজি উপবাস করতে বসেছেন— এই দুটোকে কোনো অংশেই যেন একত্রে তুলনা করবার মূঢ়তা কারো মনে না আসে। এ দুটো একেবারেই এক জিনিস নয়। র্তার উপবাস, সে তো অনুষ্ঠান নয়, সে একটি বাণী, চরম ভাষার বাণী । মৃত্যু তার সেই বাণীকে সমগ্র ভারতবর্ষের কাছে, বিশ্বের কাছে, ঘোষণা করবে চিরকালের মতো। সেই বাণীকেই যদি গ্রহণ করা আমাদের কর্তব্য হয় তবে তা যথোচিত ভাবে করতে হবে । তপস্তার সত্যকে তপস্তার দ্বারাই অস্তরে গ্রহণ করা চাই । আজ তিনি কী বলছেন সেটা চিন্তা করে দেখো। পৃথিবীময় মানব-ইতিহাসের আরম্ভকাল থেকে দেখি এক দল মানুষ আর-এক জলকে নীচে ফেলে তার উপর দাড়িয়ে নিজের উন্নতি প্রচার করে। আপন দলের প্রভাবকে প্রতিষ্ঠিত করে অন্ত