পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা श्राकौ ●●〉 করে মানুষের সন্মান থেকে যাদের নির্বাসিত করে দিলুম তাদের আমরা হারালুম। আমাদের দুর্বলতা ঘটল সেইখানেই, সেইখানেই শনির রন্ধ। এই রন্ধ্র দিয়েই ভারতবর্ষের পরাভব তাকে বারে বায়ে নত করে দিয়েছে। তার ভিতের গাথুনি জালগা, আঘাত পাবা মাত্র ভেঙে ভেঙে পড়েছে। কালক্রমে যে ভেদ দূর হতে পারত তাকে আমরা চেষ্টা করে, সমাজরীতির দোহাই দিয়ে, স্থায়ী করে তুলেছি। আমাদের রাষ্ট্রক মুক্তিসাধনা কেবলই ব্যর্থ হচ্ছে এই ভেদবুদ্ধির অভিশাপে । যেখানেই এক দলের অসম্মানের উপর আর-এক দলের সন্মানকে প্রতিষ্ঠিত করা হয় সেইখানেই ভার-সামঞ্জস্ত নষ্ট হয়ে বিপদ ঘটে। এর থেকেই বোঝা যায়, সাম্যই মানুষের মূলগত ধর্ম। যুরোপে এক রাষ্ট্রজাতির মধ্যে অন্ত ভেদ যদি বা না থাকে, শ্রেণীভেদ আছে । শ্রেণীভেদে সম্মান ও সম্পদের পরিবেশন সমান হয় না। সেখানে তাই ধনিকের সঙ্গে কমিকের অবস্থা যতই অসমান হয়ে উঠছে ততই সমাজ টলমল করছে। এই অসাম্যের ভারে সেখানকার সমাজব্যবস্থা প্রত্যহই পীড়িত হচ্ছে। যদি সহজে সাম্য স্থাপন হয় তবেই রক্ষা, নইলে নিষ্কৃতি নেই। মাচুব যেখানেই মানুষকে পীড়িত করবে সেখানেই তার সমগ্র মমুস্তত্ব আহত হবেই ; সেই আঘাত श्रृङ्काद्र श्रिकहे मित्म्न बाच्न। সমাজের মধ্যেকার এই অসাম্য, এই অসম্মানের দিকে, মহাত্মাজি অনেক দিন থেকে আমাদের লক্ষ নির্দেশ করেছেন। তবুও তেমন একান্ত চেষ্টায় এই দিকে আমাদের সংস্কারকার্য প্রবর্তিত হয় নি। চরখা ও খন্দরের দিকে আমরা মন দিয়েছি, আধিক দুৰ্গতির দিকে দৃষ্টি পড়েছে, কিন্তু সামাজিক পাপের দিকে নয়। সেইজন্যেই আজ এই দুঃখের দিন এল। অাধিক দুঃখ অনেকটা এসেছে বাইরে থেকে, তাকে ঠেকানো একান্ত কঠিন না হতে পারে। কিন্তু যে সামাজিক পাপের উপর আমাদের সকল শত্রুর আশ্রয় তাকে উৎপাটন করতে আমাদের বাজে, কেননা তার উপরে জামাদের মমত্ব। সেই প্রশ্ৰয়প্রাপ্ত পাপের বিরুদ্ধে আজ মহাত্মা চরম যুদ্ধ ঘোষণা করে দিলেন। আমাদের দুর্ভাগ্যক্রমে এই রণক্ষেত্রে তার দেহের অবসান ঘটতেও পারে। কিন্তু সেই লড়াইয়ের ভার তিনি আমাদের প্রত্যেককে দান করে যাবেন। যদি তার হাত থেকে আজ আমরা সর্বাত্ত:করণে সেই দান গ্রহণ করতে পারি তবেই আজকের দিম সার্থক হবে। এত বড়ো আহবানের পরেও স্বারা একদিন উপবাস ক’রে তার পরদিন হতে উদাসীন থাকবে, তারা দুঃখ থেকে বাবে দুঃখে, ভিক্ষ থেকে ভিক্ষে । সামান্ত কৃচ্ছ্বসাধনের দ্বারা সত্যসাধনার অবমাননা যেন না করি। মহাত্মাঞ্জির এই ব্ৰত জামাদের শাসনকর্তাদের সংকল্পকে কী পরিমাণে ও কী ভাবে