পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্রমের রূপ ও বিকাশ ר צס তার প্রথম আরম্ভের লীলাচঞ্চল কলহান্তমুখর ঝরনার প্রবাহ পাথরগুলোর মধ্যে হারিয়ে ৰায় নি। যিনি জাত-শিক্ষক ছেলেদের ভাক পেলেই তায় আপন ভিতরকার আদিম ছেলেট। আপনি ছুটে আসে। মোট গলার ভিতর থেকে উচ্ছ্বসিত হয় প্ৰাণে-ভরা কাচা হাসি। ছেলেরা যদি কোনো দিক থেকেই তাকে স্বশ্রেণীর জীব বলে চিনতে না পারে, যদি মনে করে লোকটা যেন প্রাগৈতিহাসিক মহাকায় প্রাণী, তবে থাকার আড়ম্বর দেখে নির্তয়ে সে তার কাছে হাত বাড়াতেই পারবে না। সাধারণত আমাদের গুরুরা প্রবীণত সপ্রমাণ করতেই চান, প্রায়ই ওটা শস্তায় কর্তৃত্ব করবার প্রলোভনে, ছেলেদের আঙিনায় চোপদার না নিয়ে এগোলে সন্ত্রম নষ্ট হবার ভয়ে তারা সতর্ক। তাই পাকা শাখায় কচি শাখায় ফুল ফোটাবার ফল ফলাবার মৰ্মগত সহযোগ রুদ্ধ হয়ে থাকে। আর-একটা গুরুতর কথা আমার মনে ছিল । ছেলেরা বিশ্বপ্রকৃতির অত্যন্ত কাছের সামগ্রী। আরামকেদারায় তারা আরাম চায় না, গাছের ডালে তারা চায় ছুটি । বিরাট প্রকৃতির অম্বরে আদিম প্রাণের বেগ নিগৃঢ়ভাবে চঞ্চল, শিশুর প্রাণে সেই বেগ গতিসঞ্চার করে। জীবনের আরম্ভে অভ্যাসের দ্বারা অভিভূত হবার আগে কৃত্রিমতার জাল থেকে ছুটি পাবার জন্তে ছেলেরা ছটফট করতে থাকে, সহজ প্রাণলীলার অধিকার তার দাবি করে বয়স্কদের শাসন এড়িয়ে । আরণ্যক ঋষিদের মনের মধ্যে ছিল চিরকালের ছেলে, তাই কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অপেক্ষ না রেখে তারা বলেছিলেন, যদিদং কিঞ্চ সৰ্বং প্রাণ এক্সতি নিঃস্তম্ব- এই যা-কিছু সমস্তই প্রাণ হতে নিঃস্থত হয়ে প্রাণেই কম্পিত হচ্ছে। এ কি বর্গস-এর বচন । এ মহান শিশুর বাণী । বিশ্ব প্রাণের এই স্পন্দন লাগতে দাও ছেলেদের দেহে মনে, শহরের বোবা কালা মরা দেওয়ালগুলোর বাইরে । আমাদের আশ্রমের ছেলেরা এই প্রাণময়ী প্রকৃতিকে কেবল ষে খেলায় ধুলায় নানা রকম করে কাছে পেয়েছে তা নয়, আমি গানের রাস্ত দিয়ে নিয়ে গেছি তাদের মনকে প্রকৃতির রঙমহলে । তার পরে আশ্রমের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার কথা । মনে পড়ছে, কাদম্বরীতে একটি বর্ণনা আছে– তপোবনে আসছে সন্ধ্যা, যেন গোষ্টে-ফিরে-আসা পাটলী হোমধেন্থটির মতো। শুনে মনে পড়ে যায় সেখানে গোঙ্ক চরানো, গো দোহন, সমিধ, बांझ्द्रन, बडिषि-श्रृंब्रि5र्षी, चांथश-वांजक वांजिकांटमब्र शिमङ्गङ] ।। ७झे-जद कई*र्षांtङ्गब्र দ্বারা তপোবনের সঙ্গে তাদের নিত্য-প্রবাহিত জীবনের ৰোগধারা। প্রাণায়ামের ফাকে ফঁাকে কেবলি ষে সামমন্ত্ৰ আবৃত্তি তা নয়, সহকারিতার সখ্য বিস্তারে সকলে মিলে আশ্রমের স্বীকার্ব পরিচালন ; তাতে করে জাগ্ৰম হত আশ্রমবাসীদের নিজ