পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্রমের রূপ ও বিকাশ לאס সীমানা পেরিয়ে গেছে, ধারা চক্ষুষ্মান, ধারা সন্ধানী, ধারা বিশ্বকুতুহলী, ধাদের আনন্দ প্রত্যক্ষ জ্ঞানে এবং সেই জ্ঞানের বিষয়বিস্তারে, র্যাদের প্রেরণাশক্তি সহযোগীমণ্ডল স্বষ্টি করে তুলতে পারে। সব শেষে বলব আমি যেটাকে সব চেয়ে বড়ো মনে করি এবং যেটা সব চেয়ে দুৰ্লভ। তারাই শিক্ষক হবার উপযুক্ত র্যার ধৈর্যবান, ছেলেদের প্রতি স্নেহ ধাদের স্বাভাবিক। শিক্ষকদের নিজের চরিত্র সম্বন্ধে যথার্থ বিপদের কথা এই যে, যাদের সঙ্গে তাদের ব্যবহার, ক্ষমতায় তারা তাদের সমকক্ষ নয়। তাদের প্রতি সামান্ত কারণে অসহিষ্ণু হওয়া এবং বিদ্রুপ করা অপমান করা শাস্তি দেওয়া অনায়াসেই সম্ভব। বাকে বিচার করা যায় তার যদি কোনোই শক্তি না থাকে তবে অবিচার করাই সহজ হয়ে ওঠে। ক্ষমত ব্যবহার করবার স্বাভাবিক যোগ্যতা বাদের নেই অক্ষমের প্রতি অবিচার করতে কেবল যে তাদের বাধা থাকে না তা নয়, তাদের আনন্দ থাকে। ছেলেরা অবোধ হয়ে দুর্বল হয়ে মায়ের কোলে আসে, এইজন্তে তাদের রক্ষার প্রধান উপায় মায়ের মনে অপর্যাপ্ত স্নেহ । তৎসত্ত্বেও স্বাভাবিক অসহিষ্ণুতা ও শক্তির অভিমান স্নেহকে অতিক্রম করেও ছেলেদের পরে অস্কায় অত্যাচারে প্রবৃত্ত করে, ঘরে ঘরে তার প্রমাণ দেখা যায় । ছেলেদের মহিষ হবার পক্ষে এমন বাধা অল্পই আছে । ছেলেদের কঠিন ও ও চরম দণ্ড দেবার দৃষ্টান্ত দেখলে আমি শিক্ষকদেরই দায়ী করে থাকি। পাঠশালায় মূর্খতার জন্তে ছাত্রদের পরে যে নির্যাতন ঘটে তার বারো-আনা অংশ গুরুমশায়ের নিজেরই প্রাপ্য। বিদ্যালয়ের কাজে আমি যখন নিজে ছিলুম তখন শিক্ষকের কঠোর বিচার থেকে ছাত্রকে রক্ষা করা আমার দুঃসাধ্য সমস্ত ছিল। অপ্রিয়তা স্বীকার করে আমাকে এ কথা বোঝাতে হয়েছে, শিক্ষার কাজটাকে বলের দ্বারা সহজ করবার জন্তেই যে শিক্ষক আছেন তা নয়। আজ পর্যস্ত মনে আছে চরম শাসন থেকে এমন অনেক ছাত্রকে রক্ষা করেছি স্বার জন্তে অনুতাপ করতে হয় নি । ब्रांड़ेउरज्ञहे कौ बांब्र निकांडरज्ञहे कौ, काठांद्र लांगन-बौऊि शांनग्निष्ठांद्रशे श्रद्दशांशाखांब्र প্রমাণ । আষাঢ় ১৩৪৩