পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दिश्छांब्रएँठौ 830 তবে এর প্রাণের ধারা অব্যাহত থাকতে পারবে, যন্ত্রের কঠিনতা বড়ো হয়ে উঠতে পারবে না। এক সময়ে এখানে ধারা ছাত্র ছিলেন, ধারা এখানে কিছু পেয়েছেন কিছু দিয়েছেন, তারা যদি অস্তরের সঙ্গে একে গ্রহণ করেন তবেই এ প্রাণবান হবে। এইজন্ত আজ আমার এই ইচ্ছা প্রকাশ করি যে, ধারা জীবনের অধ্য এখানে দিতে চান, ধারা মমতা দ্বারা একে গ্রহণ করতে চান, তাদের অন্তর্বর্তী করে নেওয়া যাতে সহজ হয় সেই প্রণালী যেন আমরা অবলম্বন করি । যারা একদা এখানে ছিলেন তারা সম্মিলিত হয়ে এই বিদ্যালয়কে পূর্ণ করে রাখুন এই আমার অনুরোধ। অন্ত-সব বিদ্যালয়ের মতো এ আশ্রম যেন কলের জিনিস না হয়— তা করব না বলেই এখানে এসেছিলাম। যন্ত্রের অংশ এসে পড়েছে, কিন্তু সবার উপরে প্রাণ যেন সত্য হয়। সেইজন্তই আহবান করি তাদের ধারা এক সময়ে এখানে ছিলেন, ধাদের মনে এখনো সেই স্কৃতি উজ্জল হয়ে আছে। ভবিষ্টতে যদি আদর্শের প্রবলতা ক্ষীণ হয়ে আসে তবে সেই পূর্বতনেরা যেন একে প্রাণধারায় সঞ্জীবিত করে রাখেন, নিষ্ঠ দ্বারা শ্রদ্ধা দ্বারা এর কর্মকে সফল করেন— এই আশ্বাস পেলেই আমি নিশ্চিন্ত হয়ে যেতে পারি। ৮ পৌষ ১৩৪১ ফাঙ্কন ১৩৪১ শাস্তিনিকেতন ১৭ এই আশ্রম-বিদ্যালয়ের কোথা থেকে জারভ, কোন সংকল্প নিয়ে কিসের অভিমুখে এ চলেছে, সে কথা প্রতি বর্ষে একবার করে ভাববার সময় আসে– বিশেষ করে আমার— কেননা অমুভব করি, আমার বলবার সময় আর বেশি নেই। এর ইতিহাস বিশেষ নেই ; ষে কাজের ভার নিয়েছিলাম তা নিজের প্রকৃতিসংগত নয়। পূর্বে সমাজ থেকে দূরে কোণে মাহুষ হয়েছি, আমি যে পরিবারে মানুষ হয়েছিলাম, লোকসমাজের সঙ্গে সংযোগ ছিল তার অল্প। যখন সাহিত্যে প্রবৃত্ত হলাম সে সময়ও নিভৃতে নদীতীরে কাটিয়েছি। এমন সময় এই বিদ্যালয়ের জাহান এল । এই কথাটা অনুভব করেছিলাম, শহরের খাচায় আবদ্ধ হয়ে মানবশিশু নির্বাসনদও তোগ করে, তার শিক্ষাও ৰিডালয়ে সংকীর্ণ পরিধিতে সীমাবদ্ধ। গুরুর শাসনে তারা অনেক দুঃখ পায়, এ সম্বন্ধে আমার নিজেরও অভিজ্ঞতা আছে। কখনো ভাবি নি, আমার দ্বারা এর কোনো উপায় হৰে। তৰু একদিন নদীতীর ছেড়ে এখানে এলে