পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} श्रान्जिनिएकछन अत्राध्र्थीअंभ 80& শিশিরসিক্ত ফুলের মতো পুণ্যে ধর্মে বিকশিত হয়ে থাকবে। আজ থেকে তোমাদের মঙ্গলৱত। যাতে পরম্পরের ভালো হয় তাই তোমাদের কর্তব্য । সেজন্যে নিজের স্বথ নিজের স্বার্থ বিসর্জন । এক কথায় আজ থেকে তোমাদের ব্ৰক্ষত্ৰত । এক ব্ৰহ্ম তোমাদের অস্তরে বাহিরে সর্বদা সকল স্থানেই আছেন। তার কাছ থেকে কিছুই লুকোবার জো নেই। তিনি তোমাদের মনের মধ্যে স্তন্ধ হয়ে দেখছেন । যখন যেখানে থাক, শয়ন কর, উপবেশন কর, তার মধ্যেই আছ, তার মধ্যেই সঞ্চরণ করছ । তোমার সর্বাঙ্গে তার স্পর্শ রয়েছে —তোমার সমস্ত ভাবনা তারই গোচরে রয়েছে । তিনিই তোমাদের একমাত্র ভয়, তিনিই তোমাদের একমাত্র অভয় । প্রত্যহ অন্তত একবার তাকে চিন্তা করবে। তাকে চিন্তা করবার মন্ত্র আমাদের বেদে আছে। এই মন্ত্র আমাদের ঋষির দ্বিজেরা প্রত্যহ উচ্চারণ ক’রে জগদীশ্বরের সম্মুখে দণ্ডায়মান হতেন। সেই মন্ত্র, হে সৌম্য, তুমিও আমার সঙ্গেসঙ্গে একবার উচ্চারণ করে : ওঁ ভূৰুব স্ব: তৎসবিতুৰ্বরেণ্যং ভর্গে দেবন্ত ধীমহি ধিয়ে ধো ন; প্রচোদয়াৎ। মাঘ ১৩০৮ و . هاد c۲۹ ۹ &यंथंभ कtर्मयं★ॉलौ বিনয়সম্ভাষণমেতং— আপনার প্রতি আমি যে ভার অর্পণ করিয়াছি আপনি তাহা ব্ৰতস্বরূপে গ্রহণ করিতে উদ্যত হইয়াছেন, ইহাতে আমি বড়ো আনন্দলাভ করিয়াছি। একান্তমনে কামনা করি, ঈশ্বর আপনাকে এই ব্ৰতপালনের বল ও নিষ্ঠ দান করুন । আমি আপনাকে পূর্বেই বলিয়াছি, বালকদিগের অধ্যয়নের কাল একটি ব্রতষাপনের কাল। মহন্তত্বলাভ স্বার্থ নহে, পরমার্থ— ইহা আমাদের পিতামহেরা জানিতেন । এই মন্থন্তত্বলাভের ভিত্তি যে শিক্ষা তাহাকে তাহারা ব্রহ্মচর্যব্ৰত বলিতেন । এ কেবল পড়া মুখস্থ করা এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া নহে– সংযমের দ্বারা, ভক্তিশ্রদ্ধার দ্বারা, শুচিত। দ্বারা, একাগ্র নিষ্ঠ দ্বারা সংসারাশ্রমের জন্ত এবং সংসারাশ্রমের অতীত ব্রহ্মের সহিত অনন্ত যোগ সাধনের জন্য প্রভত হইবার সাধনাই ব্রহ্মচর্যব্রত। ইহা ধৰ্মৰত। পৃথিবীতে অনেক জিনিসই কেনাবেচার সামগ্রী বটে, কিন্তু ধর্ম পণ্যদ্রব্য নহে। ইহা এক পক্ষে মঙ্গল ইচ্ছার সহিত দান ও অপর পক্ষে বিনীত ভক্তির সহিত