পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রম 880 ७९गाब्रिड बक्न हेक्रांद्र नशबउ बाउँौड देशद्र फेक्थ नक्न श्व ना । ७ई विशांजरब्रञ्च चक्षTांशंक**टक चांषि बांशांब्र चशौबह बजिब्रां ऋन कब्रि बां । র্তাহারা স্বাধীন শুভবুদ্ধির দ্বারা কর্তব্য সম্পন্ন করিয়া বাইবেন ইহাই আমি আশা করি এবং ইহার জন্যই আমি সর্বদা প্রতীক্ষা করিয়া থাকি। কোনো অঙ্কুশাসনের কৃত্রিম শক্তির দ্বারা আমি তাহাদিগকে পুণ্যকর্মে বাহিকভাবে প্রবৃত্ত করিতে ইচ্ছা করি না। তাহাদিগকে আমার বন্ধু বলিয়া এবং সহযোগী বলিয়াই জানি। বিদ্যালয়ের কর্ম যেমন জামার, তেমনি তাহাদেরও কর্ম— এ যদি না হয় তবে এ বিদ্যালয়ের বৃথা প্রতিষ্ঠা। আমি যে ভাবোৎসাহের প্রেরণায় সাহিত্যিক ও অধিক ক্ষতি এবং শারীরিক মানসিক নানা কষ্ট স্বীকার করিয়া এই বিদ্যালয়ের কর্মে আত্মোৎসর্গ করিয়াছি সেই ভাবাবেগ আমি সকলের কাছে আশা করি না। অনতিকলিপূর্বে এমন সময় ছিল ৰখন আমি নিজের কাছ হইতেও ইহা অাশা করিতে পারিতাম না। কিন্তু আমি অনেক চিন্তা করিয়া স্বম্পষ্ট বুঝিয়াছি যে, বাল্যকালে ব্রহ্মচর্য-ব্রত, অর্থাৎ আত্মসংযম, শারীরিক ও মানসিক নির্মলতা, একাগ্রতা, গুরুভক্তি এবং বিদ্যাকে মচুন্যত্বলাভের উপায় বলিয়া জানিয়া শাস্ত সমাহিত ভাবে শ্রদ্ধার সহিত গুরুর নিকট হইতে সাধনা-সহকারে তাহা দুর্লভ ধনের স্তায় গ্রহণ করা— ইহাই ভারতবর্ষের পথ এবং ভারতবর্ষের একমাত্র রক্ষার উপায় । কিন্তু এই মত ও এই আগ্রহ আমি যদি অন্তের মনে সঞ্চার করিয়া না দিতে পারি তবে সে আমার অক্ষমতা ও দুর্ভাগ্য— অঙ্গকে সেজন্ত আমি দোষ দিতে পারি না। নিজের ভাব জোর করিয়া কাহারে উপর চাপানো বায় না— এবং এ-সকল ব্যাপারে কপটতা ও ভান সর্বাপেক্ষ হেয় । জামার মনের মধ্যে একটি ভাবের সম্পূর্ণতা জাগিতেছে বলিয়া অনুষ্ঠিত ব্যাপারের সমস্ত ক্ৰটি দৈন্ত অপূর্ণত অতিক্রম করিয়াও আমি সমগ্রভাবে আমার আদর্শকে প্রত্যক্ষ দেখিতে পাই– বর্তমানের মধ্যে ভবিষ্যৎকে, বীজের মধ্যে বৃক্ষকে উপলব্ধি করিতে পারি— সেইজন্ত সমস্ত খণ্ডত দীনতা সত্বেও, ভাবের তুলনায় কর্মের যথেষ্ট অসংগতি থাকিলেও আমার উৎসাহ ও আশা ম্রিয়মাণ হুইয়া পড়ে না। যিনি আমার কাজকে খণ্ড খণ্ড ভাবে প্রতিদিনের মধ্যে বর্তমানের মধ্যে দেখিবেন, নানা বাধা-বিরোধ ও অভাবের মধ্যে দেখিবেন, তাহার উৎসাহ আশা সর্বদা সজাগ না থাকিতে পারে। সেইজন্ত আমি কাহারে কাছে বেশি কিছু দাবি করি না, সর্বদা আমার উদ্বেগু লইয়া অন্তকে বলপূর্বক উৎসাহিত করিবার চেষ্টা করি না- কালের উপর, সত্যের উপরে, বিধাতার উপরে সম্পূৰ্ণ ধৈর্ষের সহিত নির্ভর করিা থাকি। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক