পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8cmbr ब्रदौटज-ब्रछनांवलौ ( যেখানেই অজ্ঞান বা অন্যায় -বশত সেই সুযোগে কোনো বাধা ঘটে সেইখানেই বত अमछल । পৃথিবীর প্রায় সকল সমাজেই একটা জায়গায় এই বাধা ঘটে। সে হচ্ছে অর্থোপার্জনের কাজে। এইখানে মানুষের লোভ তার সামাজিক শুভবুদ্ধিকে ছাড়িয়ে চলে যায়। ধনে বা শক্তিতে অন্তের চেয়ে আমি বড়ে হব, এই কথা যেখানেই মান্থব বলেছে সেইখানেই মানুষ নিজেকে আঘাত করেছে ; কেননা, পূর্বেই বলেছি কোনো মানুষই একলা নিজেতে নিজে সম্পূর্ণ নয়। সত্যকে যে আঘাত করা হয়েছে তার প্রমাণ এই যে, অর্থ নিয়ে, প্রতাপ নিয়ে, মাচুযে মাচুযে যত লড়াই, যত প্রবঞ্চন । অর্থ-উপার্জন শক্তি-উপার্জন যদি সমাজভূক্ত লোকের পরস্পরের যোগে হতে পারত তা হলে সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তিই সকল ব্যক্তির সম্মিলিত প্রয়াসের প্রভূত ফল সহজ নিয়মে লাভ করতে পারত। ধনীর উপরে বরাবর এই একটি ধর্ম-উপদেশ চলে আসছে যে, তুমি দান করবে। তার মানেই হচ্ছে ধর্ম এবং বিষ্ঠা প্রভৃতির স্তায় ধনেও কল্যাণের দাবি খাটে, না খাটাই অধর্ম। কল্যাণের দাবি হচ্ছে স্বার্থের দাবির বিপরীত এবং স্বার্থের দাবির চেয়ে তা উপরের জিনিস। দানের ষে উপদেশ আছে তাতে ধনীর স্বার্থকে সাধারণের কল্যাণের সঙ্গে জড়িত করবার চেষ্টা করা হয়েছে বটে, কিন্তু কল্যাণকে স্বার্থের অম্বুবতী করা হয়েছে, তাকে পুরোবতী করা হয় নি। সেইজন্য দানের দ্বারা দারিদ্র্য দূর না হয়ে বরঞ্চ তা পাকা হয়ে ওঠে। ধর্মের উপদেশ ব্যর্থ হয়েছে বলেই, সকল সমাজেই ধন ও দৈন্তের দ্বন্দ্ব একান্ত হয়ে রয়েছে বলেই, যারা এই অকল্যাণকর ভোকে সমাজ থেকে দূর করতে চান তাদের অনেকেই জবৰ্দ্দস্তির দ্বারা লক্ষ্যসাধন করতে চান। তারা দস্থ্যবৃত্তি ক’রে, রক্তপাত ক’রে ধনীর ধন অপহরণ ক’রে সমাজে আর্থিক সাম্য স্থাপন করতে চেষ্টা করেন। এ-সমস্ত চেষ্টা বর্তমান যুগে পশ্চিম মহাদেশে প্রায় দেখতে পাওয়া যায়। তার কারণ হচ্ছে, পশ্চিমের মানুষের গায়ের জোরটা বেশি, সেইজন্তেই গায়ের জোরের উপর তার জাম্বা বেশি ; কল্যাণসাধনেও সে গায়ের জোর না খাটিয়ে থাকতে পারে না। তার ফলে অর্থও নষ্ট হয়, ধর্মও নষ্ট হয়। রাশিয়ায় সোভিয়েট-রাষ্ট্রনীতিতে তার দৃষ্টান্ত দেখতে পাই। অতএব ধর্মের দোহাই বা গায়ের জোরের দোহাই এই দুয়ের কোনোটাই মানবসমাজের দারিদ্র্য-মোচনের পন্থী নয়। মানুষকে দেখানো চাই যে, বড়ো মূলধনের সাহাধ্যে অর্থসভোগকে ব্যক্তিগত স্বার্থের সীমার মধ্যে একান্ত আটকে রাখা সম্ভব হবে না। আজকের দিনে যদি কোনো ক্রোয়পতি উটের ডাক বসিয়ে কেবলমাত্র তার নিজের চিঠি-চালাচালির বন্দোবন্ত করতে চান তা হলে সামান্য চাষার চেয়েও তাকে