পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ፃ8 রবীন্দ্র-রচনাবলী যুগে মানুষ বাচাবার পথে চলেছে, আর বিষয়ের অন্বেষণে মারবার পথে । শেষ পর্বত্ত কার জয় হবে সে কথা বলা শক্ত হয়ে উঠল। কেউ কেউ বলেন, মানুষের ব্যবহার থেকে মন্ত্রগুলোকে একেবারে নির্বাসিত করলে তবে আপদ মেটে। এ কথা একেবারেই অপ্রদ্ধেয়। চতুষ্পদ পশুদের আছে চার পা, হাত নেই ; জীবিকার জন্তে যতটুকু কাজ আবশুক ও তারা একরকম করে চালিয়ে নেয়। সেই কোনো একরকমে চালানোতেই দৈন্ত ও পরাভব । মানুষ ভাগ্যক্রমে পেয়েছে দুটো হাত, কেবলমাত্র কাজ করবার জন্যে । তাতে তার কাজের শক্তি বিস্তর বেড়ে গেছে। সেই সুবিধাটুকু পাওয়াতে জীবজগতে অন্য-সব জঙর উপরে সে জয়ী হয়েছে ; আজ সমস্ত পৃথিবী তার অধিকারে । তার পর থেকে যখনই কোনো উপায়ে মানুষ যন্ত্রসাহায্যে আপন কর্মশক্তিকে বাড়ায় তখনই জীবনের পথে তার জয়যাত্রা এগিয়ে চলে। এই কর্মশক্তির অভাবের দিকটা পশুদের দিক, এর পূর্ণতাই মাহুষের । মানুষের এই শক্তিকে খর্ব করে রাখতে হবে এমন কথা কোনোমতেই বঙ্গ চলে না, বললেও মানুষ শুনবে না। মাহুষের কর্মশক্তির বাহন যন্ত্রকে যে জাতি আয়ত্ত করতে পারে নি সংসারে তার পরাভব অনিবার্য, যেমন অনিবার্য মাচুষের কাছে পশুর পরাভব । শক্তিকে খর্ব করব না, অথচ সংহত শক্তি-দ্বারা মাছুষকে আঘাত করা হবে না, এই দুইয়ের সামঞ্চস্ত কী করে হতে পারে সেইটেই ভেবে দেখবার বিষয় । শক্তির উপায় ও উপকরণগুলিকে ৰখন বিশেষ এক জন বা এক দল মানুষ কোনো স্বযোগে নিজের হাতে নেয় তখনই বাকি লোকদের পক্ষে মুশকিল ঘটে। রাষ্ট্ৰতন্ত্রে একদা সকল দেশেই রাজশক্তি একজনের এবং তারই অনুচরদের মধ্যে প্রধানত সংকীর্ণ হয়ে ছিল। এমন অবস্থায় সেই একজন বা কয়েকজনের ইচ্ছাই জার-সকলের ইচ্ছাকে অভিভূত করে রাখে। তখন অন্যায় অবিচার শাসনবিকার থেকে মানুষকে ধাচাতে গেলে শক্তিমানদের কাছে ধর্মের দোহাই পাড়তে হত । কিন্তু চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী । অধিকাংশ স্থলেই শক্তিমানের কান ধর্মের কাহিনী শোনবার পক্ষে অনুকূল নয়। তাই কোনো কোনো দেশের প্রজার জোর করে রাজার শক্তি হরণ করেছে। তারা এই কথা বলেছে যে, "আমাদেরি সকলের শক্তি নিয়ে রাজার শক্তি । সেই শক্তিকে এক জায়গায় সংহত করার দ্বারাই আমরা বঞ্চিত হই। যদি সেই শক্তিকে আমরা প্রত্যেকে ব্যবহার করবার উপায় করতে পারি, তা হলে আমাদের *डि-नत्रयांछ cगळै। चांशांश्ब्र गशिलिङ ब्रांजप श्रब फे#एव ।' हेऽज८७ cनहें इरषां* ৰটেছে। অতান্ত অনেক দেশে ৰে ঘটে নি তার কারণ, শক্তিকে ভাগ করে নিয়ে তাকে কর্মে মিলিত করবার শিক্ষা ও চিত্তবৃত্তি-সৰল জাতির মেই।