পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(?) • ब्ररौठ-ब्रध्नांबनौ খনি, যেখানে মাহষের অশনবসনের আয়োজনের ক্ষেত্র, সেই স্কুল ভূমিকে আমাদের স্বীকার করতেই হবে। কিন্তু সেই স্কুল মৃত্তিকাভাওরেই তো পৃথিবীর মাহাত্ম্যভাণ্ডার নয়। যেখানে তার আলোক বিচ্ছুরিত, যেখানে নিশ্বসিত তার প্রাণ, যেখানে প্রসারিত তার মুক্তি, সেই উর্ধ্বলোক থেকেই প্রবাহিত হয় তার কল্যাণ ; সেইখান থেকেই বিকশিত হয় তার সৌন্দর্য। মানবপ্রকৃতিতেও আছে স্কুলত, যেখানে তার বিষয়বুদ্ধি, যেখানে তার অর্জন এবং সঞ্চয় ; তারই প্রতি আসক্তিই যদি কোনো মূঢ়তায় সর্বপ্রধান হয়ে ওঠে তা হলে শাস্তি থাকে না, সমাজ বিষবাম্পে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সমস্ত পৃথিবী জুড়ে আজ তারই পরিচয় পাচ্ছি, আজ বিশ্বব্যাপী লুব্ধতা প্রবল হয়ে উঠে মানুষে মাহুযে হিংস্রবুদ্ধির আগুন জালিয়ে তুলেছে। এমন দিনে স্মরণ করি সেই মহাপুরুষদের যারা মানুষকে সোনারুপার ভাণ্ডারের সন্ধান দিতে আসেন নি, দুর্বলের বুকের উপর দিয়ে প্রবলের ইস্পাত-বাধানো বড়ো রাস্তা পাকা করবার মন্ত্রণাদাতা ধারা নন – মামুষের সব চেয়ে বড়ো সম্পদ ষে মুক্তি সেই মুক্তি দান করা ধাদের প্রাণপণ ব্ৰত । C. এমন মহাপুরুষ নিশ্চয়ই পৃথিবীতে অনেক এসেছেন, আমরা তাদের সকলের নামও জানি না। কিন্তু নিশ্চয়ই এমন অনেক আছেন এখনো ধারা এই পৃথিবীকে মার্জন করছেন, আমাদের জীবনকে মুন্দর উজ্জল করছেন। বিজ্ঞানে জেনেছি, জন্তুরা ৰে বিষনিশ্বাস পরিত্যাগ করে গাছপালা সে নিশ্বাস গ্রহণ ক’রে প্রাণদায়ী অক্সিজেন প্রশ্বসিত করে দেয়। তেমনি মানুষের চরিত্র প্রতিনিয়ত যে বিষ উদগার করছে নিয়ত তা নির্মল হচ্ছে পবিত্রজীবনের সংস্পর্শে। এই শুভচেষ্টা মানবলোকে ধারা জাগ্রত রাখছেন তাদের ধিনি প্রতীক, যন্তভ্রং তন্ন জাম্বব এই বাণী ধার মধ্যে উজ্জল পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তাকে প্রণাম করার যোগেই সেই সাধুদের সকলকে একসঙ্গে প্ৰণাম জানাই– ধারা আত্মোংসর্গের দ্বারা পৃথিবীতে কল্যাণ বিতরণ করছেন। অাজকের দিন ধার জন্মদিন বলে খ্যাত সেই বিশুর নিকটই উপস্থিত করি জগতে ধারা প্ৰণম্য তাদের সকলের উদেশে প্রণাম। আমরা মানবের পরিপূর্ণ কল্যাণরূপ দেখতে পেয়েছি কয়েকজনের মধ্যে। এই কল্যাণের দূত আমাদের ইতিহাসে অরই এসেছেন, কিন্তু পরিমাণ দিয়ে কল্যাণের বিচার তো হতে পারে না। ভারতবর্ষে উপনিষদের বাণী মাহুবকে বল দিয়েছে। কিন্তু সে তো মন্ত্র, ধ্যানের বিষয়। ধাদের জীবনে রূপ পেয়েছে সেই বাণী তারা যদি আমাদের জাপন হয়ে আমাদের প্রত্যক্ষ হয়ে আসেন তবে সে আমাদের মন্ত স্বৰোগ । কেননা শাস্ত্রবাক্য তো কথা বলে না, মানুষ বলে। আজকে জামরা ধার কথা স্মরণ করছি তিনি অনেক