পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢२8 ब्रवैौटा-ब्रफ़नांवलौ ¥ . ངྒེ་ মাতার কাছে ছোটো ছেলে যেমন আবদার করে, মাটির কাছে আমরা তেমনি বরাবর আবদার করিয়া আসিয়াছি। কত হাজার বছর ধরিয়া এই মাটি আমাদের দাবি মিটাইয়া আসিয়াছে। আর বাহাই হউক আমরা কখনো অল্পের অভাব অনুভব করি নাই, কিন্তু আজকাল যেন আমাদের সেই অন্নের অভাব ঘটিয়াছে। মাটি আমাদের এখনকার দিনের সকল আবদার মিটাইতে পারিল না বলিয়া মাটির উপরে আমাদের অশ্রদ্ধা জন্মিয়াছে। কিছুকাল হইল বোলপুরের কাছে এক গ্রামে বেড়াইতে গিয়াছিলাম। এক চাষী-গৃহস্থের বাড়িতে যাইতেই সে আমাদিগকে বসিবার আসন দিল। নানা কথার পরে সে অনুরোধ করিল যে, অন্তত তাহার একটি ছেলেকে আমাদের বিদ্যালয়ে চাকরি দিতে হইবে । আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, তোমার তো চাষের কাজ আছে, তবে অমন জোয়ান ছেলেকে সাত-আট টাকা মাহিনায় অন্ত কাজে কেন পাঠাইতে চাও। সে বলিল, ‘হিসাব করিয়া দেখিয়াছি, চাবে আমাদের কুলায় না। একদিন ছিল যখন ইহাতেই আমাদের অভাব স্বচ্ছন্দে মিটিত, কিন্তু এখন সেদিন গিয়াছে।’ ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে চাষী ঠিকমত করিয়া বুঝাইয়া বলিতে পারিত না। কিন্তু আসল কথা, একদিন এমন ছিল যখন খাদ্য যেখানে উৎপন্ন হুইত সেইখানকার প্রয়োজনেই তাহার খরচ হইত। তখন দেশে রেলের রাস্ত খোলে নাই। গোরুর গাড়ি এবং নৌকার ধোগে বেশি পরিমাণ ফসল বেশি দূরে সহজে বাইতে পারিত না। তার পরে পৃথিবীর দেশ-বিদেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যের সম্বন্ধ এমন বহুবিস্তৃত ছিল না, সুতরাং তখন মাল-চালানের পথও ছিল সংকীর্ণ, মাল কিনিবার লোকও ছিল অল্প । তাই মাটির কাছে আমাদের দাবি বেশি ছিল না, জার সেই দাবি মিটাইবার আয়োজনও সহজ ছিল। তখন চাব চলিত না এমন বিস্তর জমি দেশে পড়িয়া থাকিত। অামারই বয়সে দেখিয়াছি – একদিন যে জমি চাষীকে গছাইয়া দিলে সে সেটাকে অত্যাচার মনে করিত, এখন সেই জমি দাম দিয়া মেলে না। তখন দুর্ভিক্ষের দিনে চাৰী আপন জমিজমা ফেলিয়া জনায়াসে চলিয়া যাইত, প্রজা পত্তন করা কঠিন হইত। এখন চাবী প্রাণপণে জমি জাকড়িয়া থাকে, কেমন জমির দাম বিস্তর বাড়িয়া গিয়াছে। चषक ऽांशैौ दलिएउtझ, छभिरङ उांशांब्र चडांव विहाँ ना । उांशंद्र ७कफै बख् কারণ এই যে, চাষীর অভাব অনেক বাড়িয়া গেছে। ছাতা জুতা কাপড় আসবাব