পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢७२ রবীন্দ্র-রচনাবলী সমস্ত আয়োজন শিক্ষা আরোগ্যবিধান প্রভৃতি সমস্ত বঙ্গস্থা ग:इड বড়ো বড়ো শহরে, এইজন্ত শহর গ্রামবাসীর চিত্তকে আকর্ষণ করে, গ্রামে তারা বোধ করে বঞ্চিত। তবে যুরোপে শহর ও গ্রামের এই-ষে ভাগ তা প্রধানত পরিমাণগত, শহরে যা বহুল পরিমাণে পাওয়া যায় গ্রামে সেটা যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া সম্ভব হয় না। য়ুরোপে নগরই সমস্ত ঐশ্বর্ষের পীঠস্থান, এটাই য়ুরোপীয় সভ্যতার লক্ষণ। এইজগুই গ্রাম থেকে শহরে চিত্তধারা আকৃষ্ট হয়ে চলছে। কিন্তু এটা লক্ষ্য করতে হবে যে, শহর ও গ্রামের চিত্তধারার মধ্যে, শিক্ষাদীক্ষার মধ্যে, কোনো বিরোধ নেই ; যে-কেউ গ্রাম থেকে শহরে যাবামাত্র তার যোগ্যতা থাকলে সেখানে সে স্থানলাভ করতে পারে, শহরে নিজেকে বিদেশী মনে করবার কোনো কারণ ঘটে না । এই কথাটা আমার মনে লেগেছিল। আমাদের সঙ্গে এর প্রভেদটা লক্ষ্য করবার বিষয়। একদিন আমাদের দেশের স্বা-কিছু ঐশ্বৰ্ষ, বা প্রয়োজনীয়, সবই বিস্তৃত ছিল গ্রামে গ্রামে— শিক্ষার জন্য, আরোগ্যের জন্ত, শহরের কলেজে হাসপাতালে ছুটতে হত না । শিক্ষার যা আয়োজন আমাদের তখন ছিল তা গ্রামে গ্রামে শিক্ষালয়ের মধ্যে বিষ্ঠত ছিল। আরোগ্যের যা উপকরণ জানা ছিল তা ছিল হাতের কাছে, বৈদ্য-কবিরাজ ছিলেন অদূরবর্তী, আর তাদের আরোগ্য-উপকরণ ছিল পরিচিত ও সহজলভ্য। শিক্ষা আনন্দ প্রভৃতির ব্যবস্থা যেন একটা সেচনপদ্ধতির যোগে সমস্ত দেশে পরিব্যাপ্ত ছিল, একটা বড়ো ইমারতের মধ্যে বদ্ধ করে বিদেশী ব্যাকরণের নিয়মের মধ্য দিয়ে ছজিদের পরিচালিত করবার রীতি ছিল না। সংস্কৃতিসম্পদ বা ছিল তা সমস্ত দেশের মনোভূমিকে নিয়ত উর্বরা করেছে— পল্পী ও শহরের মাঝখানে এমন কোনো ভেদ ছিল না বার খেয়াপার করবার জন্ত বড়ো বড়ো জাহাজ প্রয়োজন । দেশবাসীর মধ্যে পরস্পর মিলনের কোনো বাধা ছিল না, শিক্ষা আনন্দ সংস্কৃতির ঐক্যটি সমস্ত দেশে সর্বত্র প্রসারিত ছিল । ইংরেজ যখন এ দেশে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করলে তখন দেশের মধ্যে এক অদ্ভূত অস্বাভাবিক ভাগের সৃষ্টি হল । ইংরেজের কাজ-করবার বিশেষ বিশেষ কেন্দ্রে সংহত झाउ जांशल, डांश्रायांन क्लउँौद्र झल ८मथांटन छब झाड जाग्रज ।। ८गहे डांप्नंब्रहे क्ज আজ আমরা দেখছি। পল্লীবাসীরা আছে স্বদুর মধ্যযুগে, আর নগরবাসীরা আছে বিংশ শতাব্দীতে। দুয়ের মধ্যে ভাবের কোনো ঐক্য নেই, মিলনের কোনো ক্ষেত্র নেই, দুয়ের মধ্যে এক বিরাট বিচ্ছেদ । এই বিচ্ছেদেরই নিদর্শন দেখেছিলুম যখন আমাদের ছাত্ররা এক সময় গোলামখানায় আর প্রবেশ করবেন না বলে পল্লীর উপকার করতে লেগেছিলেন। তারা পল্লীবাসীদের