পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৭২ রবীন্দ্র-রচনাবলী অতি ক্ষুত্র শক্ৰ মশা মারবার জন্ত সকলে মিলে লেগেছেন। এর মতো স্বলক্ষণ জার নেই। কারণ, প্রত্যেকের হিতের জভে সকলেই দায়ী এবং পরের হিতই নিজের সকলের চেয়ে বড়ো হিত, এই শিক্ষার উপলক্ষ আমাদের দেশে যত বেশি হয় ততই ভালো। একটি গ্রামের মধ্যে একটা রাস্ত গিয়েছে, দেখা গেল গোরুর গাড়ি চলায় তার একটা জায়গায় গর্ত হয়েছে— ৪৫ হাতের বেশি নয়— বর্ষার সময় তাতে একহাটুর উপর কাজ জমে আর সেই কাদার মধ্য দিয়ে স্ত্রী-পুরুষ বালক-বৃদ্ধ হাটবাজার করতে যায়। নিকটবর্তী গ্রামের লোক, যারা সবচেয়ে কষ্ট পায়, তারাও এ কথা বলে না কোদাল দিয়ে খানিকট মাটি ফেলে জায়গাটা সমান করে দিই, তার কারণ তারা ঠকতে ভয় পায়। তারা ভাবে, ‘আমরাই খাটব অথচ তার স্থবিধে জামরা ছাড়াও অন্ত সবাই পাবে, এর চেয়ে নিজের দুঃখ ভোগ করি সেও ভালো। আমি পূর্বেও আপনাদের কাছে বলেছি— একটা গ্রামে বৎসর বৎসর আগুন লাগত, গ্রামে কুয়া ছিল না, আমি তাদের বললুম, তোমরা কুয়ো খোড়ো, আমি সে কুয়ো বাধিয়ে দেব। তারা বললে, “বাৰু, মাছের তেলে মাছ ভাজতে চাও ! অর্থাৎ, অর্ধেক খাটুনি আমাদের, অথচ জলদানের পুণ্যটা সম্পূর্ণ তোমার! তার চেয়ে ইহলোকে আমরা জলাভাবে মরি সেও ভালো, কিন্তু পরলোকে তুমি ৰে সস্তায় সদ্‌গতি লাভ করবে সে সইতে পারব না।" দেশের মধ্যে এরকম ভাব রয়েছে। ভদ্রলোকের মধ্যেও আছে অন্ত নানা আকারে, সে কথা আলোচনা করতে সাহস করি না । গোপালবাৰু ষে কাজে প্রবৃত্ত হয়েছেন তাতে লোকে এই কথা বুঝতে পারবে ষে, পাশের লোকের বাড়ির ডোবায় ষে মশা জন্মায় তারা বিনা পক্ষপাতে আমারও রক্ত শোষণ করে, অতএব তার ডোবার সংস্কার করা আমারও কাজ । গোপালবাবু মহৎ কাজে প্রবৃত্ত হয়েছেন, লোভ ক্রোধ বিদ্বেষের উত্তেজনা -বজিত নির্মল শুভবুদ্ধি তাকে এই কাজে আকৃষ্ট করেছে। মহত্বের এই দৃষ্টান্তটি মশকবধের cन्नाञ्चe चांभांप्रब्र कां८छ् कब भूजावांन मग्न । ७हेछछ जात्रि ऊँीब्र कायह क्लफलऊ e শ্রদ্ধা নিবেদন করছি । २> अशंर्ग : २२७ gI סצe•