পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6tbre রবীন্দ্র-রচনাবলী বিষয়ী লোকের কথা। ছোটোখাটো লাভের কথায় হানি আছে। সর্বকালের দিকে তাকিয়ে কাজ করতে হবে, বড়োকে ভূমাকে লক্ষ্য করতে হবে । সমস্ত আত্মা দিয়ে, সমস্ত শক্তি দিয়ে তবে তাকে পাব, তবে তিনি তৃপ্ত হবেন, প্রসন্ন হবেন । তিনি প্রসন্ন হলে সকল তাপ দূর হয়ে যাবে। সেইজন্ত সকলের চেয়ে বড়ো কাজ– ওঁরা বা করেছেন- উজবোধন, পল্লীর শক্তির উদ্বোধন। এরা একদিন দাড়িয়ে বলবে, ‘কাউকে মানব না, যেখানে অন্যায় পাপ ছঃখ শোক সেখানে তাকে তাড়া করে যাব।’ আজকে মশা থেকে আরম্ভ হয়েছে, এ কাজে আমাদের রায়বাহাদুর লেগেছেন। আমি ইন্‌জেকৃশন করতে জানি না, কী পরিমাণ কুইনাইন দিতে হয় জানি না, কিন্তু এটা জানি এবং এইজন্ত বহুকাল অরণ্যে রোদন করেছি— কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে তা হয় না, তাতে ভগবান প্রসন্ন হন না, সে পথ আপনার ঘরের ভিতরকার হলেও যখনই তাতে নির্ভর করেছ তখনই দুঃখ প্রাপ্ত হয়েছ, কেননা তিনি অস্তরের ভিতর আছেন, আমার অন্তরের মধ্যে যে অনন্ত শক্তি তাকে জাগাতে হবে, তিনি জাগলে সব দূর হয়ে যাবে, সব দুঃখ তাপ একসঙ্গে দূর হয়ে যাবে। কেউ কবি হতে পারে, কেউ ডাক্তার হতে পারে, কেউ ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে— যার যেরকম শক্তি, যার যেরকম শিক্ষা, সকলরকম চিত্তবৃত্তির সকলরকম শক্তির দরকার আছে । অনন্ত শক্তির উৎস যিনি তার বহুধা শক্তি -দ্বারা তিনি বিশ্বকে পালন করেন । কেবল ইকনমিক্স নয়, কেবল পলিটিক্স নয়— বহুধা শক্তি, সে বৃহৎ শক্তিকে যদি আমাদের সমাজের ভিতর, নিজের ভিতর স্বীকার করো তা হলে অনস্ত শক্তির উদ্ধৃবোধন হবে— একটা ছোটো কাজ করে, একটা কথা বলে কিছু হবে না। আমাদের সৌন্দৰবোধ থেকে আরম্ভ হয়ে, কী করে অন্ন অর্জন করতে হয়, কী করে চাষ করতে হয়, ফসল ফলাতে হয়, সব বিষয়ে দেশের মধ্যে আত্মনির্ভরতা জাগাতে হবে । কবিকে যখন সভাপতির আসনে বসিয়েছেন তখন আমি বলব এবং এটা বঙ্গবার কথা— বসন্তকালের ৰাশি এই-ষে সে শুধু একটা ফুলকে জাগিয়ে দেয় না, একটা গাছের পাতাকে ফোটায় না, দখিন-হাওয়ায় পাখিরা জেগে ওঠে, লতাপাত ফোটে, গাছের ফল ফুল সমস্ত জানন্দ-উৎসবে শক্তির উৎসবে উৎফুর ও আনন্দিত হয় । সেই বসন্তের বাণীকে জামি আপনাদের কাছে উপস্থিত করছি । ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯২৪ ?wri( داوود