পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆలిe রবীন্দ্র-রচনাবলী গির্জাম্বর থেকে ফেরবার পথে , দেখা গেল সেই দীর্ঘ জনশ্রেণী । তারা দেহকে পীড়ন ক'রে চলেছে ক্লাস্ত আক্রান্ত গুরুভারে, তাদের জন্তে নেই স্বৰ্গ, নেই হৃদয়কে উর্ধ্বে উদ্‌বাহন, ঈশ্বরের স্বন্দর স্বষ্টিতে নেই তাদের রোমাঞ্চিত আনন্দ, নেই তাদের শাস্তি, নেই বিশ্রাম। কেবল আরামহীন পরিশ্রম দিনের পর দিন, ক্ষুধিত তুষার্ত তারা, ছিন্ন বসন, জীর্ণ আবাস, পরিপোষণহীন দেহ। এ দিকে তার বিষন্ন দুখাভিভূত মুখশ্ৰী, উদার বিচারের মহিমায় তিনি মুকুটিত । গম্ভীর অভিযোগে আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন— “আমার এই ভাইদের মধ্যে তুচ্ছতমের প্রতি যে নির্মমত সে আমারই প্রতি ।” • sه د )fttaی sه মংপু। দাৰ্জিলিং অজিতকুমার চক্রবর্তী ব্রহ্মবিদ্যালয়’ ( ১৩১৮) গ্রন্থে লিখিয়াছেন : “১৩১৬ সালে মহাপুরুষদিগের জন্ম কিংবা মৃত্যু দিনে তাহাদিগের চরিত ও উপদেশ -আলোচনার জন্য [ শাস্তিনিকেতনে ] উৎসব করা স্থির হইল। খৃষ্টমাসে প্রথম খৃষ্টোৎসব হইল। তার পরে চৈতন্ত ও কবীরের উৎসব হইয়াছিল। সকল মহাপুরুষকেই ভালো করিয়া জানিবার ও বুঝিবার সংকল্প হইতেই এ অনুষ্ঠানের স্বষ্টি।” এই সময় হইতে শাস্তিনিকেতনে নিয়মিতভাবে খৃষ্ট-জন্মদিনে উৎসব অনুষ্ঠিত হইয়া আসিতেছে। যিশুচরিত : তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা, ভাদ্র ১৮৩৩ শক ( ১৩১৮ ) 'শাস্তিনিকেতন আশ্রমে ১৯১৩ খৃষ্টাব্দের খৃষ্টোৎসবের দিনে কথিত বক্তৃতার সারমর্ম। অজিতকুমার চক্রবর্তী প্রণীত 'খুষ্ট গ্রন্থের ভূমিকা-রূপে এই রচনা ব্যবহৃত। খৃষ্টধর্ম : সবুজপত্র, পৌষ ১৩২১ ‘খুষ্টজন্মদিনে শান্তিনিকেতন আশ্রমে কথিত ।