পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्ररौौटा-ग्नष्क्रमांवलौ 98اوا যদি ঐ টাকার থলির মধ্যেই বদ্ধ থাকে তা হলেও তেমন,ক্ষতি নেই, ক্ষাড়া তা হলে ঐখানেই কেটে যায়। ঘা হোক, কাজ যখন সম্পূর্ণ সমাপ্ত হয়ে গেছে তখন লোকসানের দিকেই সমস্ত ঝোকটা দিয়ে পরিতাপ করে কোনো ফল নেই– ওর মধ্যে যতটুকু লাভ আছে, তা যত সামান্তই হোক, সেইটেকেই প্রচুর জ্ঞান করে তাকে যথাযোগ্য ব্যবহারে লাগাবার চেষ্টা করা কর্তব্য— ওর দেয়াল ফাটা, ওর গাছগুলো বুড়ো, ওর চারি দিকে জঙ্গল এ বলে মন ভারী করে বসে থাকলে ঠকাটিকে কেবল দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলা হবে । যে আটহাজার টাকা আমার গেছে, সে তো গেছেই– কিন্তু তার বদলে যেটুকু পেয়েছি তাকে পেয়েছি বলেই গণ্য করতে হবে। আমার ফিরে যাওয়া পর্যন্ত ওটাকে কী রকমে কাজে লাগাতে পারা যেতে পারে তা এতদূর থেকে বলা এবং ব্যবস্থা করা আমার পক্ষে শক্ত। তোমরা সকলে পরামর্শ করে যেরকম ভালো বোধ কর তাই করো। আর কিছু না হোক, জমি অনেকটা আছে ওর মধ্যে, কিছু কিছু চাষ হতে পারে না কি ? সন্তোষের গোয়ালঘরের কল্যাণে গোবরের সারের তো অভাব হবে না। এখন থেকে ফল গাছগুলোর গোড়া খুড়ে ওতে যথেষ্ট পরিমাণ সার দিতে পারলে হয়তে। আমের সময় ছেলেদের জন্ত কিছু আম পাওয়া যেতে পারে।. o হলকর্ষণ : শ্ৰীমতী নির্মলকুমারী মহলানবিশকে লিখিত একখানি চিঠি এই অভিভাষণ-প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য—

  • আজ স্বরূলে হলচালন উৎসব হবে । লাঙল ধরতে হবে আমাকে । বৈদিক মন্ত্র-যোগে কাজটা করতে হবে বলে এর অসম্মানের অনেকটা হ্রাস হবে । বহু হাজার বৎসর পূর্বে এমন একদিন ছিল যখন হাল-লাঙল কাধে করে মানুষ মাটিকে জয় করতে বেরিয়েছিল, তখন হলধরকে দেবতা বলে দেখেছে, তার নাম দিয়েছে বলরাম । এর থেকে বুঝবে নিজের যন্ত্রধারী স্বরূপকে মানুষ কতখানি সম্মান করেছে। বিষ্ণুকে বলেছে চক্রধারী, কেননা এই চক্র হচ্ছে বস্তুজগতে মানুষের বিজয়রখের বাহন। মাটি থেকে মানুষ ফসল আদায় করেছে এটা তার বড়ো কথা নয়, বড়ো কথা হচ্ছে হাল-লাঙলের উদভাবন। এমন জন্তু আছে যে আপনার দাত দিয়ে পৃথিবী বিদীর্ণ করে খান্ত উদ্ধার করে ; মাহুবের গৌরব হচ্ছে সে আপন দেহের উপর চূড়ান্ত নির্ভর করে না, তার নির্ভর যন্ত্র-উদ্ভাবনী বুদ্ধির উপর। এরই সাহায্যে শারীর কর্মে একজন মানুষ হয়েছে বন্ধ মানুষ। গোঁৱৰে বহুবচন। আজ আমরা একটা মিখ্যে কথা প্রায় বলে থাকি— dignity of labour, offs to on rosa ww.so won aton abso আত্মাৰমাননা বলেই জানে। আজ আমাদের উৎসবে আমরা হাল-লাঙলের অভিবাদন