পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় ట్రాలి( * যদি করে থাকি তবে সেটা জ্ঞাপন উদভাবন-কৌশলের আদিম প্রকাশ ব'লে। সেইখানে খতম করতে বলা মচুন্যত্বকে অপমানিত করা। চরকাকে যদি চরম আশ্রয় বলি তা হলে চরকাই তার প্রতিবাদ করবে— আপন দেহশক্তির সহজ সীমাকে মাস্থ্য মানে না এই কথাটা নিয়ে চরকা পৃথিবীতে এসেছে— সেই চরকার দোহাই দিয়েই কি মানুষের • বুদ্ধিকে বেড়ার মধ্যে আটকাতে হবে। আজ দেখলুম একটা বাংলা কাগজ এই বলে আক্ষেপ করছে যে, বেহারের ইংরেজ মহাজন কলের লাঙলের সাহায্যে চাষ শুরু করেছে, তাতে করে আমাদের চাষীদের সর্বনাশ হবে । লেখকের মত এই যে, আমাদের চাষীদের আধপেট খাওয়াবার জন্তে মানুষের বুদ্ধিশক্তিকে অনন্তকাল নিক্রিয় করে রেখে দিতে হবে। লেখক এ কথা ভুলে গেছেন যে, চাষীরা বস্তুত মরছে নিজের জড়বুদ্ধি ও নিরুস্তমের আক্রমণে। শাস্তিনিকেতনে শিক্ষাব্যাপারে আমি জার-জার অনেক প্রকারের আয়োজন করেছি— কিন্তু যে শিক্ষার সাহায্যে মানুষ একাস্ত দৈহিক শ্রমপরতার অসন্মান থেকে আত্মরক্ষা করতে পারে তার আয়োজন করতে পারলুম না এই দুঃখ অনেক দিন থেকে আমাকে বাজছে। দেহের সীমা থেকে যে বিজ্ঞান আমাদের মুক্তি দিচ্ছে আজ যুরোপীয় সভ্যতা তাকে বহন করে এনেছে— একে নাম দেওয়া যাক বলরামদেবের সভ্যতা। তুমি জানো বলরামদেবের একটু মদ খাবারও অভ্যাস আছে, এই সভ্যতাতেও শক্তিমত্ততা নেই তা বলতে পারি নে, কিন্তু সেই ভয়ে শক্তিহীনতাকেই শ্রেয় গণ্য করতে হবে এমন মূঢ়তা আমাদের না হোক। हेडि २९ थांद१ s७७७” —পথে ও পথের প্রাস্তুে এই গ্রন্থের প্রথমভাগে মুদ্রিত অপর সকল রচনাই শ্ৰীনিকেতন বার্ষিক উৎসবে (৬ ফেব্রুয়ারি ) বা হলকর্ষণ ও বৃক্ষরোপণ -উৎসবে কথিত ভাষণের অনুলিপি। 'পল্লীপ্রকৃতি', অনুরূপ অনুলিপি অবলম্বনে কবি-কর্তৃক পরিবর্ধিত আকারে লিখিত হয় ( মূত্রণকালে আরো পরিবর্তন হয় )। অভিভাষণ : কলিকাতায় বিশ্বভারতী-সন্মিলনীতে এল. কে. এলমহাবৃন্ট, Robbery of the Soil” সম্বন্ধে একটি বক্তৃতা দেন, এই সভার সভাপতিরূপে রবীন্দ্রনাথের ভাষণ । S TDBBDD BBBD DD DDDD DDDD DDDDSBBDDDD BBBS BBBS BB DDDD