পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՊՑ ब्ररोौटश-ब्रक्रमांसलौ घरब्र विवाब निरव्ह । गश् चांशैरक बजाज, “छूशि डांबइ कौ, एक्शन करब्र.८शंक कांच তো উদ্ধার হয়ে গেছে। সন্ন্যাসী উধাও হয়ে গিয়ে তোমাদেরই তো কাজ হালকা করে দিয়ে গেল। এখন বাসিবিয়ের আয়োজন করতে হবে, চোর-ডাকাতের পিছনে সময় নষ্ট কোরো না। কিন্তু সেই মেয়েটির কোনো খোজ পেলে কি।”

  • ছঃখের কথা বলব কী, এখন একটি মেয়ের জায়গায় রোজ আমার থানার সামনে

পচিশটি মেয়ের আমদানি হচ্ছে চাল কল৷ নৈবেন্ত নিয়ে। এখন কোনটি ষে কে খোজ করা শক্ত হয়ে উঠল।” “সে কী, তোমার দরজায় এত মেয়ের আমদানি তো ভালো নয়। ওখানে তুমি কি বাবাজি সেজে বসেছ নাকি।” "না, লোকটার চালাকির কথা শোনো একবার, অবাক হবে। একদিন হঠাৎ কিষণলাল এসে খবর দিলে আফিসের সামনের রাস্তায় একটি পাথর বেরিয়েছে। তার গায়ে পাড়ার মেয়েরা এসে সি দুর লাগাচ্ছে, চন্দন মাখাচ্ছে ; কেউ চাইতে এসেছে সস্তান, কেউ স্বামীসৌভাগ্য, কেউ আমারই সর্বনাশ। এই ভিড় পরিষ্কার করতে গেলেই খবরের কাগজে মহা হাউমাউ করে উঠবে ষে এইবার হিন্দুর ধর্ম গেল। আমার হিন্দু পাহারাওয়ালারাও তাকে পাচ সিকা করে প্রণামী দেয়। ব্যাবসা খুব জমে উঠল। টাকাগুলো কে আদায় করছে অবশেষে সেটার দিকে চোখ পড়ল। একদিন দেখা গেল— না আছে পাথরটা, না আছে টাকার থালা । আর সেই পাগলা গোছের লোকটা সেও তার সাজ বদলে কোথায় যে গা-ঢাকা দিল সে সম্বন্ধে নানা অদ্ভুত গুজব শোনা যেতে লাগল। মুশকিল এই– হিন্দুধর্মের পাহারাওয়ালার •হাংগার-স্ট্রাইকের ভয় দেখাতে থাকে। এই নিয়ে যদি শাস্তিভঙ্গ হয় তা হলে আবার সকলের কাছে আমাকে জবাবদিহি করতে প্রাণ বেরিয়ে বাবে। এখন কোন কি সামলাই আর-এক উৎপাত ঘটেছে, একদিন ছেদীলাল এসে পড়ল পুলিসের খানায় দরজায় জড়াম করে। হাউমাউ করে বললে যে, ভোলানাথের একশিঙওয়ালা ভূীবাৰ বাড়ের মতো গর্জাতে গর্জাতে তাকে এসে তাড়া করেছিল। সে তো কাজ ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে সন্ন্যাসী হয়ে । গাছতলায় বসে বলে গাজ খাচ্ছে। এখন লোক পাওয়া শক্ত হয়েছে। আর ওর সঙ্গে আমরা পেরে উঠি নে, কেননা মেয়ের ওর সহায়। ও তাদের সব বশ করে নিয়েছে।” I সন্থ হেসে বললে, “ওর গল্প তই শুনি আমারই তো মন টলমল করে ওঠে।” *দেখো, সর্বনাশ কোরো না যেন ।” “ন, তোমার ভয় নেই, আমার এ সৌভাগ্য নয়। মেয়েদের চাতুর দিয়ে ঘরকর।