পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

صاف ہ اد রবীন্দ্র-রচনাবলী যাত্রী সবে কহে নারী, হে দাদাঠাকুর, রক্ষা করে, রক্ষা করো ? দুই দৃঢ় করে রাখালেরে প্রাণপণে বক্ষে চাপি ধরে । ভৎসিয় গর্জিয় উঠি কহিলা ব্রাহ্মণ, ‘আমি তোর রক্ষণকর্তা ! রোষে নিশ্চেতন মা হয়ে আপন পুত্র দিলি দেবতারে, শেষকালে আমি রক্ষা করিব তাহারে । শোধ দেবতার ঋণ ; সত্য ভঙ্গ করে এতগুলি প্রাণী তুই ডুবাবি সাগরে ? মোক্ষদ কহিল, ‘অতি মূখ নারী আমি, কী বলেছি রোষবশে— ওগো অন্তর্যামী, সেই সত্য হল ? সে যে মিথ্যা কতদূর তখনি শুনে কি তুমি বোঝ নি ঠাকুর ? শুধু কি মুখের বাক্য শুনেছ দেবতা ? শোন নি কি জননীর অস্তরের কথা ? বলিতে বলিতে যত মিলি মাঝি-দাড়ি বল করি রাখালেরে নিল ছিড়ি কাড়ি মার বক্ষ হতে। মৈত্র মুদি দুই আঁখি ফিরায়ে রহিল মুখ কানে হাত ঢাকি দন্তে দন্ত চাপি বলে । কে তারে সহস মর্মে মৰ্মে আঘাতিল বিদ্যুতের কশা, দংশিল বৃশ্চিকদংশ । ‘মালি ! মাসি ! মাসি ? বিন্ধিল বহ্নির শলা রুদ্ধ কর্ণে আসি নিরুপায় অনাথের অস্তিমের ডাক । চাংকারি উঠিল বিপ্ৰ, বাথ রাখ, রাখ! চকিতে হেরিল চাহি মুছি আছে প’ড়ে মোক্ষদা চরণে র্তার। মুহূর্তের তরে - ‘মাসি বলি ফুকারিয়া মিলালো বালক