পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*|| S 8 কল্পনা ছায়ামূর্তি যত অম্লচর দগ্ধতাত্র দিগন্তের কোন ছিদ্র হতে ছুটে আসে ! কী ভীষ্ম অদৃশু নৃত্যে মাতি উঠে মধ্যাহ-আকাশে নিঃশব্দ প্রখর ছায়ামূর্তি তব অনুচর ! মত্তশ্রমে শ্বসিছে হুতাশ । রহি রহি দহি দহি উগ্ৰবেগে উঠিছে ঘুরিয়া, আবতিয়া তৃণপৰ্ণ, ঘূর্ণচ্ছন্দে শূন্যে আলোড়িয়া চূর্ণরেণুরাশ মত্তশ্রমে শ্বসিছে হুতাশ । দীপ্তচক্ষু হে শীর্ণ সন্ন্যাসী, পদ্মাসনে বস আসি রক্তনেত্ৰ তুলিয়া ললাটে, শুদ্ধজল নদীতীরে শস্যশূন্ত তৃষাদীর্ণ মাঠে উদাসী প্রবাসী— দীপ্তচক্ষু হে শীর্ণ সন্ন্যাসী ! জলিতেছে সম্মুখে তোমার লোলুপ চিতাগ্নিশিখা, লেহি লেহি বিরাট অম্বর, নিথিলের পরিত্যক্ত মৃতস্ত প বিগত বৎসর করি ভস্মসার । চিত। জলে সম্মুখে তোমার। হে বৈরাগী, করে শান্তিপাঠ । উদার উদাস কণ্ঠ যাক ছুটে দক্ষিণে ও বামে, যাক নদী পার হয়ে, যাক চলি গ্রাম হতে গ্রামে, পূর্ণ করি মাঠ । হে বৈরাগী, করে শাস্তিপাঠ । >。"