পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্পনা তোমার তিমিরতলে যে বিপুল নিঃশব্দ উদযোগ ভ্ৰমিতেছে জগতে জগতে আমারে তুলিয়। লও সেই তার ধ্বজচক্রহীন নীরবঘর্ঘর মহারথে । তুমি একেশ্বরী রানী বিশ্বের অন্তর-অন্তঃপুরে সুগম্ভীরা হে শু্যামাসুন্দরী, দিবসের ক্ষয়ক্ষীণ বিরাট ভাণ্ডারে প্রবেশিয় নীরবে রাখিছ ভাণ্ড ভরি। নক্ষত্র-রতন-দীপ্ত নীলকান্ত সুপ্তিসিংহাসনে তোমার মহান জাগরণ । অামারে জাগায়ে রাখে। সে নিস্তব্ধ জাগরণতলে নির্নিমেষ পূর্ণ সচেতন । কত নিদ্রাহীন চক্ষু যুগে যুগে তোমার আঁধারে খুজেছিল প্রশ্নের উত্তর । তোমার নির্বাক মুখে একদৃষ্টে চেয়েছিল বসি কত ভক্ত জুড়ি দুই কর । । দিবস মুদিলে চক্ষু, ধীরপদে কৌতুহলীদল অঙ্গনে পশিয়া সাবধানে তব দীপহীন কক্ষে সুখদুঃখ জন্মমরণের ফিরিয়াছে গোপন সন্ধানে । স্তম্ভিত তমিত্রপুঞ্জ কম্পিত করিয়া অকস্মাৎ অধরাত্রে উঠেছে উচ্ছাসি সদ্যস্ফুট ব্রহ্মমন্ত্ৰ আনন্দিত ঋষিকণ্ঠ হতে । আন্দোলিয়া ঘন তন্দ্রারাশি । পীড়িত ভুবন লাগি মহাযোগী করুণাকাতর, চকিতে বিদ্যুৎ-রেখা-বং তোমার নিখিললুপ্ত অন্ধকারে দাড়ায়ে একাকী দেখেছে বিশ্বের মুক্তিপথ । ১৯৯