পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\',88 রবীন্দ্র-রচনাবলী এতবড়ো সন্দেহী, সে থাকলে আজ যোগের বল প্রত্যক্ষ করতে পারত। ( প্রকাশ্বে নিরুপমার প্রতি ) আপনারা আমাকে এক দিনেই চিরঋণী করেছেন, যদি গান করেন তবে বিক্রীত হয়ে থাকব । নিরুপমার গান অামি কী বলে করিব নিবেদন আমার হৃদয় প্রাণ মন । চিত্তে এসে দয়া করি নিজে লহো অপহরি, করে তারে আপনার ধন— আমার হৃদয় প্রাণ মন । শুধু ধূলি, শুধু ছাই, মূল্য যার কিছু নাই মূল্য তারে করে সমর্পণ তব সম্পর্শে পরশরতন । তোমার গৌরবে যবে আমার গৌরব হবে একেবারে দিব বিসর্জন চরণে হৃদয় প্রাণ মন । আশু । (স্বগত) আর মন্ত্রের দরকার নেই। বশীকরণের আর কী বাকি রইল ! কন্যাটি দেবকস্তা । ( প্রকাশ্বে ) মাতাজি । শু্যাম । কী বাবা ? আশু। আমাকে আপনার পুত্র করেই রাখবেন, এমন স্বধাসংগীত শোনবার অধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন না। যা পাওয়া গেল এই আমি পরম লাভ মনে করছি। মন্ত্রতন্ত্রের কথা ভুলেই গেছি। এখন বুঝতে পারছি, মন্ত্রের কোনো দরকার নেই। শু্যামা । অমন কথা বোলে না বাবা ! মন্ত্রের দরকার আছে বৈকি। নইলে শাস্ত্ৰে— আশু । সে তো ঠিক কথা । মন্ত্র আমি অগ্রাহ করি নে। আমি বলছিলেম মন্ত্র পড়লেই যে মন বশ হয় তা নয়, গানের মোহিনী শক্তির কাছে কিছুই লাগে না । (স্বগত) মেয়েটি আবার লজ্জায় লাল হয়ে উঠল। ভারি লাজুক ! খাম । (আত্মগত ) ছেলেটি খুব ভালো। কিন্তু একটু যেন লজ্জা কম বলে বোধ হয়। মন বশ করার কথাগুলো শাশুড়ির সামনে না বললেই ভালো হ’ত । অণ্ড । কিন্তু আপনি বিরক্ত হবেন না, আমার যা মনে উদয় হচ্ছে আমি বলি, তার পরে— t * *