পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so রবীন্দ্র-রচনাবলী লক্ষেশ্বর। সেইজন্যেই এসেছ বটে। আমার বয়স কত আন্দাজ করছ বাপু ! আমি কি শিশু ! . . . . . . . . . . সন্ন্যাসী । কেন বাবা, তুমি কী সন্দেহ করছ? - ' ' ' ' . . . লক্ষেশ্বর। কী সন্দেহ করছি! তুমি তা কিছু জান না ! বড়ো সাধু! ভও সন্ন্যাসী কোথাকার ! . ... ' ঠাকুরদাদা । আরে, কী বলিস লখা, আমার ঠাকুরকে অপমান! উপনন্দ। এই রঙবাট নোড়া দিয়ে তোমার মুখ গুড়িয়ে দেব না ! টাকা হয়েছে বলে অহংকার । কাকে কী বলতে হয় জান না ! ' ' সন্ন্যাসীর পশ্চাতে লক্ষেশ্বরের লুকায়ন সন্ন্যাসী । আরে, কর কী ঠাকুরদাদা ! কর কী বাবা ! লক্ষেশ্বর তোমাদের চেয়ে ঢের বেশি মানুষ চেনে। যেমনি দেখেছে অমনি ধরা পড়ে গেছে । ভণ্ড সন্ন্যাসী যাকে বলে ! বাবা লক্ষেশ্বর, এত দেশের এত মানুষ ভুলিয়ে এলেম, তোমাকে ভোলাতে পারলেম না । ਾ к লক্ষেশ্বর । না, ঠিক ঠাওরাতে পারছি নে। হয়তে ভালো করি নি। আবার শাপ দেবে কি কী করবে ! তিনখানা জাহাজ এখনো সমুদ্রে আছে। (পায়ের ধুলা লইয়া) প্রণাম হই ঠাকুর । হঠাৎ চিনতে পারি নি। বিরূপাক্ষের মন্দিরে আমাদের ওই বিকটানন্দ বলে একটা সন্ন্যাসী আছে, আমি বলি সেই ভণ্ডটাই বুঝি — ঠাকুর্দী, তুমি এক কাজ করে। সন্ন্যাসীঠাকুরকে আমার ঘরে নিয়ে যাও ; আমি ওঁকে কিছু ভিক্ষে দিয়ে দেব । আমি চললেম বলে। তোমরা এগোও । -و ی ঠাকুরদাদা । তোমার বড়ো দয়া ! তোমার ঘরের এক মুঠে চাল নেবার জন্যে ঠাকুর সাত সিন্ধু পেরিয়ে এসেছেন । । -- o تیله সন্ন্যাসী । বল কী ঠাকুর্দা ! এক মুঠো চাল যেখানে দুর্লভ সেখান থেকে সেটি নিতে হবে বৈকি ! বাবা লক্ষেশ্বর, চলো তোমার ঘরে । , , , , লক্ষেশ্বর । আমি পরে যাচ্ছি, তোমরা এগোও । উপনন্দ, তুমি আগে ওঠে। ওঠে, শীঘ্ৰ ওঠে। বলছি, তোলে৷ তোমার পুথিপত্র ! ټ؛ د | + উপনন্দ । আচ্ছ, তবে উঠলেম, কিন্তু তোমার সঙ্গে আমার কোনো সম্বন্ধ রইল লক্ষেশ্বর। না থাকলেই যে বঁচি বাবা! আমার সম্বন্ধে কাজ কী ! এতদিন তো আমার বেশ চলে যাচ্ছিল । -** siar . . . .