পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ r,শারদোৎসব 8 ఇన్గ్లో সন্ন্যাসী। ঠাকুর্দা, যেখানে আলস্ত, যেখানে কৃপণতা, যেখানেই ঋণশোধে ঢিল পড়ে যাচ্ছে, সেইখানেই সমস্ত কুত্ৰ, সমস্তই অব্যবস্থা । ঠাকুরদাদা। সেইখানেই যে এক পক্ষে কম পড়ে যায়, অন্য পক্ষের সঙ্গে মিলন পুরো হতে পায় না । , | সন্ন্যাসী। লক্ষ্মী যখন মানবের মর্তলোকে আসেন তখন দুঃখিনী হুয়েই আসেন; র্তার সেই সাধনার তপস্বিনীবেশেই ভগবান মুগ্ধ হয়ে আছেন ; শত দুঃখেরই দলে র্তার সোনার পদ্ম সংসারে ফুটে উঠেছে, সে খবরটি আজ ওই উপনন্দের কাছ থেকে পেয়েছি । লক্ষেশ্বরের প্রবেশ লক্ষেশ্বর। তোমরা চুপিচুপি দুটিতে কী পরামর্শ করছ ? সন্ন্যাসী । আমাদের সেই সোনার পদ্মের পরামর্শ । লক্ষেশ্বর। অ্যা! এরই মধ্যে ঠাকুর্দার কাছে সমস্ত ফাস করে বসে আছ ? বাবা, তুমি এই ব্যাবসাবুদ্ধি নিয়ে সোনার পদ্মর আমদানি করবে? তবেই হয়েছে! তুমি যেই মনে করলে আমি রাজি হলেম না অমনি তাড়াতাড়ি অন্য অংশীদার খুজতে লেগে গেছ! কিন্তু, এসব কি ঠাকুর্দার কর্ম ? ওঁর পুজিই বা কী ? সন্ন্যাসী । তুমি খবর পাও নি। কিন্তু, একেবারে পুজি নেই তা নয়। ভিতরে ভিতরে জমিয়েছে। লক্ষেশ্বর । ( ঠাকুরদাদার পিঠ চাপড়াইয়া ) সত্যি না কি ঠাকুর্দা ? বড়ে তো ফাকি দিয়ে আসছ। তোমাকে তো চিনতেম না। লোকে আমাকেই সন্দেহ করে, তোমাকে তো স্বয়ং রাজাও সন্দেহ করে না— তা হলে এত দিনে খানাতল্লাশি পড়ে যেত। আমি তো, দাদা, গুপ্তচরের ভয়ে ঘরে চাকর-বাকর রাখি নে । ঠাকুরদাদা। তবে যে আজ সকালে ছেলে তাড়াবার বেলায় উর্ধ্বস্বরে চোবেতেওয়ারি-গিরধারিলালকে হাক পাড়ছিলে ? লক্ষেশ্বর। যখন নিশ্চয় জানি হাক পাড়লেও কেউ আসবে না, তখন উর্ধ্বস্বরের জোরেই আসর গরম করে তুলতে হয়। কিন্তু, ব’লে তো ভালো করলেম না। মানুষের সঙ্গে কথা কবার তো বিপদই ওই । সেইজন্যেই কারও কাছে ঘেঁসি নে। দেখে দাদা, ফাস করে দিয়ে না । םr ঠাকুরদাদা। ভয় নেই তোমার। 迪 লক্ষেশ্বর। ভয় না থাকলেও তবু ভয় ঘোচে কই ? যা হোক ঠাকুর, এক ঠাকুর্দাকে