পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শারদোৎসব। 8ృ'లి সন্ন্যাসী। ওই বেতমিনীর ধার দিয়ে যাও। যেখানে বটতলায় পোড়ো মন্দিরটা আছে সেই মন্দিরটায় সমস্ত সাজানো আছে। ঠাকুর্দী, তুমি এদের সাজিয়ে আনে৷ ঠাকুরদাদা। তবে চলো সবাই । [ প্রস্থান সন্ন্যাসী । গান রামকেলি । কাওয়ালি নবকুন্দধবলদল-সুশীতল অতিস্থনির্মলা মুখসমুজ্জল৷ শুভ-সুবর্ণ-আসনে-অচঞ্চল ! স্মিত-উদয়ারুণ-কিরণ-বিলাসিনী পূর্ণসিতাংশু-বিভাস-বিকাশিনী নন্দনলক্ষ্মী সুমঙ্গল ! লক্ষেশ্বরের প্রবেশ লক্ষেশ্বর। দেখো ঠাকুর, তোমার মস্তর যদি ফিরিয়ে না নাও তো ভালো হবে না বলছি ! কী মুশকিলেই ফেলেছ! আমার হিসেবের খাত মাটি হয়ে গেল ! একবার মনটা বলে যাই সোনার পদ্মর খোজে, আবার বলি থাক গে ও-সব বাজে কথা ! একবার মনে ভাবি এবার বুঝি তবে ঠাকুর্দাই জিতলে বা, আবার ভাবি মরুক গে ঠাকুর্দা ! কিন্তু, এ তো ভালো কথা নয়! চেল-ধর ব্যাবসা দেখছি তোমার। কিন্তু, সে হবে না, কোনোমতেই হবে না! চুপ করে হাসছ কী? আমি বলছি আমাকে পারবে না— আমার শক্ত হাড় । লক্ষেশ্বর কোনোদিন তোমার চেলাগিরিতে ভিড়বে না | [ প্রস্থান ফুল লইয়া ছেলেদের প্রবেশ সন্ন্যাসী। এবার অর্ঘ্য সাজানো যাক। এ যে টগর, এই বুঝি মালতী, শেফালিকাও অনেক এনেছ দেখছি! সমস্তই শুভ্র, শুভ্ৰ, শুভ্ৰ ! বাবা, এইবার সব দাড়াও । একবার পূর্ব আকাশে দাড়িয়ে বেদমন্ত্র পড়ে নিই। বেদমন্ত্র অক্ষি দুঃখোখিতস্তৈৰ স্বপ্রসয়ে কনীনিকে। আংক্তে চাদগণং নাস্তি ঋভূনাং তন্নিবোধত।। কনকাভানি বালাংসি অহতানি নিবোধত।