পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় । - ¢¢ግ. কহিল চোখে চোখে চাহি, ‘গোপন আর কিছু নাহি ? কহিল আসি কাছে কাছে, § ‘কত যে কথা রটিয়াছে ? സ്റ്റ് পুলকে হাতে হাত রাখি কহিল, বৃথা ঢাকাঢাকি।” মালাটি করি আরপন কহিল মুখে মুখ চুমি, পড়িল ধরা ত্রিভুবন, পড়ি ধরা আমি তুমি ? ०० ट्रेछार्छ [ s७०8 ] শ্ৰীযুক্ত অমলচন্দ্র হোম ও যতীন্দ্রমোহন বাগচীর সৌজন্যে কল্পনার অন্য অনেকগুলি কবিতারও পাণ্ডুলিপি দেখিবার স্থযোগ হইয়াছে এবং ঐ পাণ্ডুলিপির সাহায্যে অনেক কবিতা -রচনার কাল ও স্থান গ্রন্থে নির্দিষ্ট হইয়াছে। ‘আমার ধর্ম প্রবন্ধে অশেষ ও বর্ষশেষ কবিতা-প্রসঙ্গে কবি লিখিয়াছেন— এর [ 'এবার ফিরাও মোরে' রচনার ] পর থেকে বিরাটচিত্তের সঙ্গে মানবচিত্বের ঘাত-প্রতিঘাতের কথা ক্ষণে ক্ষণে আমার কবিতার মধ্যে দেখা দিতে লাগল। দুইয়ের এই সংঘাত যে কেবল আরামের, কেবল মাধুর্যের তা নয়। অশেষের দিক থেকে যে আহবান এসে পৌছয় সে তো বাশির ললিত স্বরে নয় - এ আহবান এ তো শক্তিকেই আহবান ; কর্মক্ষেত্রেই এর ডাক ; রসসম্ভোগের কুঞ্জকাননে নয়।. এমনি করে ক্রমে ক্রমে জীবনের মধ্যে ধর্মকে স্পষ্ট করে স্বীকার করবার অবস্থা এলে পৌছল। যতই এটা এগিয়ে চলল ততই পূর্বজীবনের সঙ্গে আসন্ন জীবনের একটা বিচ্ছেদ দেখা দিতে লাগল। অনন্ত আকাশে বিশ্বপ্রকৃতির যে শান্তিময় মাধুর্ধ-জাসনাম পত ছিল সেটাকে হঠাৎ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে বিরোধবিক্ষুব্ধ মানবলোকে রুদ্রবেশে কে দেখা দিল ? এখন থেকে স্বন্ধের দুঃখ, বিপ্লবের আলোড়ন। সেই নূতন বোধের অত্যুদয় যে কী রকম ঝড়ের বেশে দেখা দিয়েছিল, এই সময়কার বর্ষশেষ’ কবিতার মধ্যে সেই কথাটি আছে । A —সবুজ পত্র। আশ্বিন ও কার্তিক ১৩২৪