পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২ রবীন্দ্র-রচনাবলী উষ্ণ রক্ত-উপহারে করিবে তপণ তৃষাতুর প্রেতাত্মার । বাঘের মতন হুংকারিয়া লম্ফ দিয়া রক্তনেত্রে বীর পড়িল গুরুর পরে ; গুরু রহে স্থির কাঠের মূর্তির মতো। ফেলি অস্ত্রখান তখনি চরণে র্তার পড়িল পাঠান । কহিল, ‘হে গুরুদেব, লয়ে শয়তানে কোরো না এমনতরো খেলা ৷ ধৰ্ম জানে ভুলেছিলু পিতৃরক্তপাত ; একাধারে পিতা গুরু বন্ধু বলে জেনেছি তোমারে এতদিন । ছেয়ে থাক্ মনে সেই স্নেহ, ঢাকা পড়ে হিংসা যাক মরে । প্রভু, দেহে পদধূলি ? এত বলি বনের বাহিরে উধৰ্বশ্বাসে ছুটে গেল, ন চাহল ফিরে, না থামিল একবার । দুটি বিন্দু জল ভিজাইল গোবিন্দের নয়নযুগল । পাঠান সেদিন হতে থাকে দূরে দূরে । নিরালা শয়নঘরে জাগাতে গুরুরে দেখা নাহি দেয় ভোরবেলা । গৃহদ্বারে অস্ত্র হাতে নাহি থাকে রাতে । নদীপারে গুরু-সাথে মৃগয়ায় নাহি যায় একা । নির্জনে ডাকিলে গুরু দেয় না সে দেখা । একদিন অপরম্ভিল শতরঞ্জ খেলা গোবিন্দ পাঠান-সাথে । শেষ হল বেল না জানিতে কেহ । হার মানি বারে বারে মাতিছে মামুদ । সন্ধ্যা হয়, রাত্রি বাড়ে । সঙ্গীরা যে যার ঘরে চলে গেল ফিরে । । বা বা করে রাতি । একমনে হেটশিরে