পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা - " রবি তখন রক্তরাগে রাঙা, সবে তখন ঝিকিমিকি বেলা । পায়ে পায়ে ঘাগরা উঠে ফুলে, ওড়না ওড়ে দক্ষিনে বাতাসে। ডাহিন হাতে বহে ফাগের থারি, নীবিবন্ধে ঝুলিছে পিচকারি, 酶 বামহস্তে গুলাব-ভরা ঝারি-- সারি সারি রাজপুতানী আসে । পায়ে পায়ে ঘাগর উঠে দুলে, ওড়না ওড়ে দক্ষিনে বাতাসে । জাথির ঠারে চতুর হাসি হেসে & কেসর তবে কহে কাছে আসি, বেঁচে এলেম অনেক যুদ্ধ করি, আজকে বুঝি জানে-প্রাণে মরি! শুনে রানীর শতেক সহচরী হঠাৎ সবে উঠল অট্টহাসি। রাঙা পাগড়ি হেলিয়ে কেসর খ রঙ্গভরে সেলাম করে আসি । শুরু হল হোরির মাতামাতি, উড়তেছে ফাগ রাঙা সন্ধ্যাকাশে । নব বরন ধরল বকুল ফুলে, রক্তরে করল তরুলে— ভয়ে পাখি কুজন গেল ভুলে রাজপুতানীর উচ্চ উপহাসে । কোথা হতে রাঙা কুঙ্কটিকা লাগল যেন রাঙা সন্ধ্যাকাশে । চোখে কেন লাগছে নাকো নেশা, মনে মনে ভাবছে কেসর খা । ዓዓ