পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা রক্তধারা গড়িয়ে পড়ে বেগে পাঠান-পতির চক্ষু হল কানা । বিনা মেঘে বজ্ররবের মতো উঠল বেজে কাড়া-নাকাড়া । জ্যোৎস্নাকাশে চমকে ওঠে শশী, ঝনঝনিয়ে ঝিকিয়ে ওঠে অসি, সানাই তখন দ্বারের কাছে বসি গভীর সুরে ধরল কানাড়া । কুঞ্জবনের তরু-তলে-তলে উঠল বেজে কাড়া-নাকাড়া । বাতাস বেয়ে ওড়না গেল উড়ে, পড়ল খসে ঘাগরা ছিল যত । মস্ত্ৰে যেন কোথা হতে কে রে বাহির হল নারী-সজ্জা ছেড়ে, এক শত বীর বিরল পাঠানেরে পুষ্প হতে এক-শে সাপের মতে । স্বপ্নসম ওড়না গেল উড়ে, 。ヘ পড়ল খসে ঘাগরা ছিল যত । যে পথ দিয়ে পাঠান এসেছিল সে পথ দিয়ে ফিরল নাকে তারা । ফাগুন-রাতে কুঞ্জবিতানে মত্ত কোকিল বিরাম না জানে, কেতুনপুরে বকুল-বাগানে কেসর খায়ের খেলা হল সারা । যে পথ দিয়ে পাঠান এসেছিল সে পথ দিয়ে ফিরল নাকে তারা। ৯ কার্তিক ১৩০৬ అమె