পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&br রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী মধ্যদিনে অকস্মাৎ শুষ্কপত্রে তাড়া দিয়ে, কখনো বা আপনারে ছাড়া দিয়ে কালবৈশাখীর মত্ত মেঘে। বন্ধহীন বেগে । আর সে একাস্তে আসে। মোর পাশে স্বহস্তে সজিত উপহারনীলকান্ত আকাশের থালা, তারি পরে ভুবনের উচ্ছলিত সুধার পিয়ালা । এই দিন এল আজ প্ৰাতে যে অনন্ত সমুদ্রের শঙ্খ নিয়ে হাতে, তাহার নিঘোষ বাজে ঘন ঘন মোর বক্ষোমাকে । জন্ম-মরণের - দিগ্ধলয়-চক্ররেখা জীবনেরে দিয়েছিল ঘের, সে আজি মিলাল । শুভ্ৰ আলো কালের বঁাশরি হতে উচ্ছসি যেন রে শূন্য দিল ভরে । আলোকের অসীম সংগীতে চিত্ত মোর ঝংকারিছে সুরে সুরে রণিত তন্ত্রীতে । উদয়-দিকপ্রাস্ত-তলে নেমে এসে শাস্ত হোসে এই দিন বলে আজি মোর কানে, “অক্সান নূতন হয়ে অসংখ্যের মাঝখানে একদিন তুমি এসেছিলে এ নিখিলে সপ্তপর্ণ-পল্লবের পবনহিল্লোল-দোল-ছন্দে, শ্যামলের বুকে, নিনিমেষ নীলিমার নয়নসম্মুখে । সেই- যে নুতন তুমি, তোমারে ললাট চুমি এসেছি। জাগাতে বৈশাখের উদ্দীপ্ত প্ৰভাতে ।

  • হে নুতন, দেখা দিক আরবার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ ।

আচ্ছন্ন করেছে তারে আজি শীর্ণ নিমেষের যত ধূলিকীর্ণ জীৰ্ণ পত্র।রাজি ।