পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী দোষ গাইতে চাই যদি তো তাল করা যায় বিন্দুকেমোটের উপর শিলঙ ভালোই, যাই না বলুক নিন্দুকে । আমার মতে জগৎটাতে ভালোটারই প্ৰাধান্য--- মন্দ যদি তিন-চল্লিশ, ভালোর সংখ্যা সাতান্ন । বর্ণনাটা ক্ষান্ত করি, অনেকগুলো কাজ বাকি, আছে চায়ের নেমস্তন্ন, এখনো তার সাজ বাকি । ছড়া কিংবা কাব্য কভু লিখবে পরের ফরমাশে রবীন্দ্ৰনাথ ঠাকুর জেনো নয়কে তেমন শৰ্মা সে । তথাপি এই ছন্দ রচে করেছি। কাল নষ্ট তো, এইখানেতে কারণটি তার বলে রাখি স্পষ্টততোমরা দুজন বয়সেতে ছোটােই হবে বোধ করি, আর আমি তো পরমায়ুর ষাট দিয়েছি শোধ করি । তবু আমার পাক কেশের লম্বা দাড়ির সম্রামে আমাকে যে ভয় কর নি। দুর্বাসা কি যম ভ্ৰমে, কবিতাতে লিখতে চিঠি হুকুম এল লম্বিফত— এইটে দেখে মনটা আমার পূর্ণ হল উৎসাহে, মনে হল, বৃদ্ধ আমি মন্দ লোকের কুৎসা এ | মনে হল আজো আছে কম বয়সের রঙ্গিমা, জরার কোপে দাড়ি-গোপে হয় নি। জবািড়-জঙ্গিমা । তাই বুঝি সব ছোটাে যারা তারা যে কোন বিশ্বাসে একবয়সী বলে আমায় চিনেছে এক নিশ্বাসে । এই ভাবনায় সেই হতে মন এমনিতরো খুশি আছে, ডাকছে ভোলা ‘খাবার এল”- আমার কি আর ইশ আছে । জানিলা দিয়ে বৃষ্টিতে গা ভেজে যদি ভিজুক তো ; ভুলেই গেলাম লিখতে নাটক আছি আমি নিযুক্ত । ছোট্ট দুটি মেয়ের কাছে ফুটুক ‘রবির রবিত্ব ।” জিৎভূমি । শিলঙ ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩০ ՀՈԳi আশ্বিনের রাত্রিশেষে ঝরে-পড়া শিউলি-ফুলের উৎসবে ছুটেছে দলে দলে ; শুধু বলে, “চলো চলো ।” অশ্রুবাম্প-কুহেলীিতে দিগন্তের চক্ষু ছিলোছালো, ধরিত্রীর আদ্র বক্ষে তৃণে তৃণে কম্পন সঞ্চারে, তবু ওই প্ৰভাতের যাত্রীদল বিদায়ের দ্বারে